ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিদ্যুৎ উৎপাদনে গেলো রাশিয়ার তৃতীয় ভিভিইআর- ১২০০ ইউনিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৯
বিদ্যুৎ উৎপাদনে গেলো রাশিয়ার তৃতীয় ভিভিইআর- ১২০০ ইউনিট

ঢাকা: বাংলাদেশে নির্মীয়মান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের রেফারেন্স হিসেবে বিবেচিত আরও একটি ভিভিইআর- ১২০০ পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট নির্ধারিত সময়ের ৩০দিন আগেই বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে।

রুশ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ- রোসটেকনাদজর-এর অনুমোদন লাভের পর শুক্রবার (০১ নভেম্বর) রাশিয়ার নভোভারোনেঝ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প-২ এর দ্বিতীয় ইউনিটটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়।

২০১৬ সালে একই প্রকল্পের ভিভিইআর- ১২০০ রিয়্যাক্টরভিত্তিক প্রথম ইউনিটটি চালু হয় এবং ২০১৭ সালে একই ধরনের আরও একটি ইউনিট উদ্বোধন করা হয় লেনিনগ্রাদ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প-২ এর অধীনে।

রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন-রোসাটমের প্রথম উপ-মহাপরিচালক (অপারেশন্স ব্যবস্থাপনা) এবং এএসই গ্রুপ অব কম্পানিজের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দর লোশকিন এ প্রসঙ্গে বলেন, বিদেশের প্রকল্পগুলোর জন্য আমরা এখন এই ডুয়েল-ইউনিট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিজাইনটি রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারবো।

তিনি জানান, নির্মাণ, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, ক্রয় ও অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি আমরা অব্যাহতভাবে আমাদের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। আজকের দিনে বাজার চাহিদা মেটাতে এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সদ্য চালু হওয়ায় এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটিটি রাশিয়ার ৩৬তম ইউনিট। এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হওয়ার ফলে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে পারমাণবিক বিদ্যুতের অবদান ২৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একই সঙ্গে এর ফলে প্রতিবছর গড়ে ৪০ লাখ টন গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন রোধ সম্ভব হবে।

আগের প্রজন্মেও ভিভিইআর- ১০০০ রিয়্যাক্টরভিত্তিক পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটের তুলনায় ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর- ১২০০ রিয়্যাক্টরভিত্তিক বিদ্যুৎ ইউনিটে যেসব অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা সুবিধা যুক্ত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে- ২০ শতাংশ বেশি উৎপাদন ক্ষমতা, পরিচালনার জন্য ৩০-৪০ শতাংশ কম লোকবল, দ্বিগুণ লাইফটাইম- ৬০ বছর, যা আরও ২০ বছর পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব।

এখন পর্যন্ত ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি, চীন, বাংলাদেশ এবং বেলারুশ অত্যাধুনিক এবং সর্বোচ্চ নিরাপদ রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর প্রযুক্তি বেছে নিয়েছে এবং অন্যান্য অনেক দেশ এর প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ দেখাছে।  

রোসাটম এসব দেশে ভিভিইআর- ১২০০ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করছে। বিশ্বের ১২টি দেশে রোসাটমের বাস্তবায়নাধীন ৩৬টি ভিভিইআর প্রযুক্তির পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।

রুশ আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় পাবনা জেলার রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। রূপপুর প্রকল্পে দু’টি ভিভিইআর- ১২০০ ইউনিট থাকবে, প্রথমটি ২০২৩ সালে এবং দ্বিতীয়টি পরবর্তী বছর উৎপাদন শুরু করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এসকে/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।