মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি মো. আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, এ বি তাজুল ইসলাম, ফজলে হোসেন বাদশা, আহসান আদেলুর রহমান, ওয়াসিকা আয়শা খান এবং গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ও বিদ্যুৎ বিভাগের ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের চলমান প্রকল্পগুলোর ওপর আলোচনা হয়। জনগণের বাড়ি, পুকুর ও আবাদি জমিতে নতুন করে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনে স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগপূর্বক পল্লি বিদ্যুতের লাইন নির্মাণের নকশা প্রণয়নের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে সুপারিশ করা হয়।
শিল্প লাইনের খুঁটি ছাড়া বিদ্যুৎ লাইনের অন্যান্য খুঁটি গ্রাহক যেন বিনা টাকায় সরানোর সুবিধা পায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া ৪১২টি উপজেলা ও ৯৫ শতাংশ এলাকায় এরইমধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে বলে বৈঠকে অবহিত করা হয়, যা আগামী ডিসেম্বর নাগাদ শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়িত হবে মর্মে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
গ্যাসের অধিকাংশ ব্যবহার হয় শিল্পক্ষেত্রে, তাই শিল্পক্ষেত্রে গ্যাসের সিস্টেম লস হ্রাসে ইলেক্ট্রনিক গ্যাস ভলিউম মিটার (ইভিসি) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে আরো জানানো হয়, গ্যাস লাইনে সিস্টেম লস হ্রাসে আবাসিক গ্রাহকদের পর্যায়ক্রমে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারের নতুন আবাসিক গ্যাস সংযোগ দেওয়ার এবং বিদ্যমান আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্নের কোনো পরিকল্পনা নেই।
বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
এসকে/জেডএস