ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

স্কুলের নলকূপ থেকে বের হচ্ছে গ্যাস, বালু ও পানি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০
স্কুলের নলকূপ থেকে বের হচ্ছে গ্যাস, বালু ও পানি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নতুন বসানো হচ্ছে এমন একটি গভীর নলকূপ দিয়ে দ্রুত গতিতে বের হচ্ছে গ্যাস। 

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে হঠাৎ করে বিকট শব্দে ‍ওই কূপ থেকে গ্যাস নির্গত হতে থাকে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বিদ্যালয়ের দুটি ভবন।

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার ভূমি জাহাঙ্গীর হোসেন, কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লোকমান হোসেনসহ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের নেতারা।

বায়েক ইউপি চেয়ারম্যান ও সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল মামুন ভূঁইয়া জানান, বিদ্যালয়ের পুরাতন টিউবওয়েলটি কাজ না করায় সরকারিভাবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে একটি টিউবওয়েল বসানোর কাজ করছিল শ্রমিকরা। গত তিন দিনে প্রায় সাড়ে নয়শত ফুট বোরিং করার পর বালি এবং পানির লেয়ার পাওয়ায় ফিল্টার পাইপ লাগানোর জন্য পাইপ উপরের দিকে তুলছিল। আনুমানিক দেড়শত ফুট উপরে তুলার পর হঠাৎ করে বিকট শব্দে গ্যাস উঠতে থাকে। এই অবস্থায় টিউবওয়েল মিস্ত্রিরা ভয়ে দূরে সরে যায়। গ্যাসের সঙ্গে নিচের বালু উঠে আসার কারণে দুটি ভবন এখন হুমকির মুখে। প্রচণ্ড বেগে নিচ থেকে গ্যাস, বালু এবং পানি ওঠার কারণে একটি ভবন অর্ধেক বালির নিচে চলে গেছে অপর ভবনটির মধ্যে হালকা কাঁপুনি অনুভূত হয়। বালি এবং পানিতে বিদ্যালয়ের মাঠ একাকার হয়ে গেছে। এমতাবস্তায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি)  জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি নতুন গভীর নলকূপ বসানো হয়েছিল। ওই নলকূপের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিন্তু বুধবার  থেকে নলক‚ পের গর্ত থেকে দ্রুত গতিতে গ্যাস বের হচ্ছে। কোনোভাবেই তা বন্ধ করা যাচ্ছে না। বিষয়টি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানানো হয়েছে।  

তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ওই ভবনের আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্কুলের কার্যাক্রম অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ের চারপাশে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।