মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রদীপ কুমার বলেন, দু’দেশের মধ্যে অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে, যা আমাদের একে অপরের কাছে নিয়ে আসে। আমাদের মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আছে আমরা সেটিকে আরও বাড়াতে চাই। এর জন্য আমরা একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ভারতের একটি কোম্পানি জি এম আর কে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। সেটি হবে নেপালে। তাদের অবকাঠামো নির্মাণে নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তাদের হয়তো পাঁচ থেকে ছয় বছর লাগবে। এরপরেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠানো সম্ভব হবে। প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে।
পর্যটন খাতের বিষয়ে তিনি বলেন, দু’দেশের পর্যটকরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারে সে বিষয়েও আমরা কথা বলেছি। নেপালি কিছু পণ্যের বাংলাদেশে প্রবেশে শুল্ক কমানোর আবেদনও করেছি আমরা।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যেন সব প্রতিবেশীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মধুর ও শক্তিশালী হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নেপালের সঙ্গে আজ আমাদের বৈঠক। বৈঠকে আমরা যোগাযোগ, দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক রাজনীতি, বাণিজ্য, জ্বালানি খাত এবং পারস্পরিক সহায়তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছি। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ ও বাণিজ্যে কীভাবে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা যায়, প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা যায়, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন পণ্যে আমাদের কাছে শুল্ক হ্রাসের আবেদন করেছে, আমরাও সেখানে আমাদের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছি।
পর্যটন খাত নিয়ে তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে সড়কপথে পর্যটন বাড়ানো নিয়ে আলাপ হয়েছে। ভারত ও নেপালের সঙ্গে একটি চুক্তি ইতোমধ্যেই আমরা সম্পন্ন করেছি। সৈয়দপুর বিমানবন্দর নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তারা সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারে আগ্রহী। সৈয়দপুরের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। প্রতিদিন ১১টি ফ্লাইট আছে, সেগুলো আমরা তাদের বলেছি।
এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নেপাল ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান নেপালি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনদিনের সরকারি সফরে ঢাকায় এসেছেন নেপালি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
এসএইচএস/আরবি/