যশোর: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মাহমুদুল হক বলেছেন, বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতায় দেশে মামলা জট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এতে যেমন অর্থের অপচয় হচ্ছে তেমনি জনগণ হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আন্তরিকতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির অস্বাভাবিক লম্বা সময় কমিয়ে সহনশীল পর্যায়ে আনতে হবে বলে মত দেন তিনি।
রোববার (৪ মে) যশোর জজকোর্ট চত্বরে আগত বিচার প্রার্থী ও সাধারণ জনগণের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, টাকা পয়সাওয়ালা লোকেরা সাধারণত আদালতে আসেন খুবই কম। বিচার প্রার্থী সাধারণ মানুষ আদালতে এসে দীর্ঘ সময় অবস্থানকালে সীমাহীন কষ্ট ভোগ করেন। তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘবে সরকার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ প্রতিষ্ঠা করেছে।
যশোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দায়রা জজ নুরুল ইসলাম, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর, জিপি আব্দুল মোহাইমেন এবং পি পি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
অনুষ্ঠানে আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোর্তজা ছোট, সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর, দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি সিরাজুল ইসলাম, নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আব্দুল লতিফ লতা, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির বাবর আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এক হাজার বর্গফুটের এই বিশ্রামাগার নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে ২০২৩ সালে।
এটি জেলা ও দায়রা জজের কাছে হস্তান্তর হয়েছে ২০২৪ সালের ১৮ জুন। বিশ্রামাগারটি রোববার (৪ মে) জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হলো।
এটি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে।
আরএ