ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২, ০৮ মে ২০২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

খাগড়াছড়ির ৩ সীমান্ত দিয়ে ৮০ জনকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭:৫৭, মে ৮, ২০২৫
খাগড়াছড়ির ৩ সীমান্ত দিয়ে ৮০ জনকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ

খাগড়াছড়ির কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে এখন পর্যন্ত ৮০ জন ভারতীয় নাগরিককে পুশ ইন  করানোর খবর পাওয়া গেছে। যাদের অধিকাংশ গুজরাটের বাসিন্দা।

তাদের বাংলাদেশি নাগরিক আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করানো হচ্ছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

পুশ ইন করা অধিকাংশ ভারতীয় নাগরিক গুজরাট রাজ্যের বাসিন্দা। তারা মুসলমান। প্রত্যেকে গুজরাটি এবং বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারেন।  

বুধবার (০৭ মে) ভোরে তাদের জেলার মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন করানো হয়েছে। এখনও সাংবাদিকরা ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেনি। তবে স্থানীয় আশ্রয়দাতা ও বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।

তাদের দেওয়া তথ্যমতে, ভারতীয় নাগরিকদের প্রথমে গুজরাট থেকে প্লেনে করে আগরতলা বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখান থেকে গাড়িতে করে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে কয়েকভাগে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী (বিএসএফ) ভোরে বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার পার করিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। এরমধ্যে মাটিরাঙ্গার দক্ষিণ শান্তিপুরে সাবেক ইউপি সদস্য মৃত আবুল হোসেনের বাসায় ২৭জন ভারতীয় নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন।
 
স্থানীয় দোকানদার মো. আবুল হাসেম বলেন, ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় শিশু নারীসহ ভারতীয় নাগরিকদের দেখতে পাই। সবাই আতঙ্কগ্রস্ত এবং ক্ষুধার্ত ছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানতে পারি। পরে আরও কয়েকজনের সহযোগিতায় তাদের খাবারের ব্যবস্থা করি এবং বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেওয়া হয়।  

পুশ ইন হওয়াদের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, আরও শতাধিক ভারতীয় নাগরিক ছিল তাদেরও বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলেও তারা জানিয়েছে।

এদিকে বিকেলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আলমসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুশ ইনকারীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে আপাতত তাদের স্থানীয় দুইজনের বাড়িতে থাকতে দেওয়া হয়েছে।  

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী মাটিরাঙ্গা উপজেলার দক্ষিণ শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে ২৭ জন, তাইন্দং-এর আচালং সীমান্তে ২৩ জন এবং পানছড়ি উপজেলার রুপসেন পাড়া সীমান্ত দিয়ে ৩০ জনকে পুশ ইন করানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের অধিকাংশ নারী এবং শিশু।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বরত কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার উপ পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা জানান, রাত আটটা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি জেলায় সর্বমোট ৮০ জনের মতো পুশ ইন করানোর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি জানান, পুশ ইনের বিষয়ে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বিজিবি। তবে বর্তমানে পুশইনকারীদের মানবিক সহযোগিতা হিসেবে খাবারের ব্যবস্থা করছে জেলা প্রশাসন।  

এডি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।