ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২, ০৯ মে ২০২৫, ১১ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর রায় ছাড়া মানবিক করিডোর নয়: সারজিস আলম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩২, মে ৮, ২০২৫
জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর রায় ছাড়া মানবিক করিডোর নয়: সারজিস আলম

পঞ্চগড়: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর রায় ছাড়া মানবিক করিডোর নয়। এটা কোনো ছোট বিষয় না।

আগে করিডোরের নামে বিদেশি এজেন্ট এসেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দেশে ঢুকেছে। নানা কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। এ সুযোগ দিতে দেব না। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এ দেশের অন্তর্বর্তী সরকার একা নিতে পারে না।  

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে, জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আপোষহীন থেকে সামগ্রিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করে যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যোগ করেন সারজিস।


বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর বার আউলিয়ার মাজারের বার্ষিক ওরশ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তার পাশেই পাকিস্তান। এ দুটি দেশে যদি যুদ্ধ পরিস্থিতি হয়, তৃতীয় দেশ হিসেবে এর সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হবে বাংলাদেশ। আমরা আমাদের জায়গা থেকে কখনো প্রত্যাশা করি না যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দুটি দেশে যুদ্ধ লাগুক। জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। তবে যেভাবে পুশইন করা হচ্ছে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। বর্তমান সরকার কঠোর পদক্ষেপ না নিলে এর দায়ভার তাদের নিতে হবে।  

সীমান্তে পুশইনের দায় সরকার এড়াতে পারে না বলেও জানান তিনি।

আরও বলেন, আব্দুল হামিদকে পালাতে দেওয়া হয়েছে। এর ব্যর্থতা বর্তমান সরকারের।  

 

সারজিস বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক বড় হাতিয়ার হচ্ছে মিথ্যা মামলা। আর এ মিথ্যে মামলা দিয়ে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মতো বর্তমানে কিছু রাজনৈতিক নেতা এসব মামলা করছেন। কিছু পুলিশও তাদের সহযোগিতা করছে। আমরা চাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের নামে মামলা হবে, বিচার হবে- দৃশ্যমান শাস্তি হবে। কিন্তু আমরা কখনো চাই না, একজন নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হোক। কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো নেতাকর্মী যেন অন্যায় বা অপকর্ম না করে, দলীয় প্রভাব না খাটায়। কিন্তু তা যারা করছে, তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের পার্থক্য কোথায়? আওয়ামী লীগ একই কাজ বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যদের সঙ্গে করেছিল। কিন্তু আজ তো আওয়ামী লীগ করছে না- অন্য দলের কেউ করছে। আর যারা করছে, তারা আওয়ামী লীগের মতো একই কাজ করছে। একটি চক্র লিস্ট সাজিয়ে তাদের ফোন দেয়। নাম না দেওয়ার কথা বলে টাকা চায়। একই সঙ্গে বিভিন্ন অপরাধমূলক পন্থা অবলম্বন করে যাচ্ছে। আমরা সোজা কথায় বলতে চাই, এর দায়ভার অন্তর্বর্তী সরকার ও আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নিতে হবে।

এসআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।