ফরিদপুরে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া আট মাস বয়সী সেই শিশু তানহাকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে রোববার (১১ মে) সন্ধ্যায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার জানান, রোববার শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশু তানহাকে উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুটিকে নগরকান্দা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, আজ বিকেলে ফরিদপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিশুটির অভিভাবকত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, র্যাবের মাধ্যমে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে মা পপি বেগম বলেন, আমি আমার বাচ্চাকে ফিরে পেতে চাই। যারা আমার মেয়েকে বিক্রি করেছে তাদের বিচার চাই। আমার কাছে সব কাগজপত্র আছে। আমি ন্যায্যভাবে আমার সন্তানকে চাই।
এর আগে ভুক্তভোগী পপি বেগম অভিযোগ করে বলেন, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে আমার বাড়ি। তিন বছর আগে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামপাশা গ্রামের কাইয়ুম বিশ্বাসের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। এ সময় কোলজুড়ে আসে একটি কন্যা সন্তান। কিন্তু সুখ বেশি দিন টেকেনি। পাঁচ মাস আগে কলহের জেরে মৌখিকভাবে তালাক দেন কাইয়ুম।
তিনি আরও বলেন, তালাকের সময় আট মাস বয়সী কন্যাশিশু তানহাকে জোর করে রেখে দেন তিনি। কিছুদিন পর জানতে পারি, আমার সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে দেড় লাখ টাকায়। শিশুটি বিক্রি করা হয় একই উপজেলার শাখরাইল গ্রামের কুবাদ শেখের মেয়ে কোহিনুর বেগমের কাছে। আর এ বিক্রির মধ্যস্থতা করেন নগরকান্দা উপজেলার দলিল লেখক আলমগীর তালুকদার। পরবর্তীতে তানহাকে আনতে গেলে তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা করি।
** সন্তানকে ছিনিয়ে নিয়ে বিক্রির অভিযোগ, স্বামীর নামে মামলা
আরএ