নড়াইলে উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় সেট পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেওয়ায় কেন্দ্র সচিব কাজল কুমার বিশ্বাস ও ট্যাগ অফিসার লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই ভুলের জন্য তাদের দুইজনকে শোকজ করা হয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) লোহাগড়া উপজেলা সদরের লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আব্দুল মতিন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (২৯ জুন) সকাল ১০টা থেকে বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৫৬০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় বোর্ডের নির্দেশনা ছিল ৪ নম্বর সেটে পরীক্ষা গ্রহণের। কিন্তু ভুলবশত লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে দুই নম্বর সেটে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা বাইরে এলে অন্য কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা হলে তারা প্রশ্ন মেলায়। তখন সেটের ভিন্নতার কারণে বিভ্রান্তিতে পড়ে।
পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ভুল সেটে পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনাটি পরীক্ষা শেষ হলে কিছুক্ষণ পর জানতে পারি। বিষয়টি নিয়ে আমরা অত্যন্ত চিন্তিত। আমাদের উত্তরপত্রের বিষয়ে কি হবে-তা নিয়েও আমরা চিন্তিত।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব ও লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজল কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রিয়াদ জানান, লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা কলেজের কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজল কুমার বিশ্বাস এবং ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম। তাদের দায়িত্বহীনতার বিষয়ে যশোর শিক্ষাবোর্ডকে জানানো হয়েছে।
যশোরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আব্দুল মতিন জানান, যশোর বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ৪ নম্বর সেটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অথচ লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ২ নম্বর সেটে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। চারটি সেটের মধ্যে কোন সেটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, তা আগেই কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা সেই বিষয়টি লক্ষ্য না করেই সেট পরিবর্তন করে পরীক্ষা নিয়েছেন। দায়িত্বে এ ধরনের অবহেলার কারণে তাদের অব্যাহতি এবং শোকজ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সেট পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেওয়া হলেও উত্তরপত্র মূল্যায়নে কোনো সমস্যা হবে না। এ বিষয়ে কোনো পরীক্ষার্থী যেন অহেতুক দুশ্চিন্তা না করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ৫৬০ জন পরীক্ষার্থী আছেন।
আরএ