ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

গাবুরায় বেড়িবাঁধের স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে ১০ হাজার বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:২৭, জুন ৩০, ২০২৫
গাবুরায় বেড়িবাঁধের স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে ১০ হাজার বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ

সাতক্ষীরা: শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নে মেগা প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বেড়িবাঁধের স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে ১০ হাজার বৃক্ষরোপণের উদ্যাগ নিয়েছে সামাজিক বন বিভাগ যশোর।  

সোমবার (৩০ জুন) বিকালে এই বনায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন গাবুরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার শহীদুল্লাহ গাজী।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সামাজিক বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক প্রিয়াঙ্কা হালদার বলেন, শ্যামনগরের গাবুরা একটি দ্বীপ ইউনিয়ন। এর চারপাশ খোলপেটুয়া,  আড়পাঙ্গাসিয়া ও কপোতাক্ষ নদী দ্বারা বেষ্টিত। এখানে ৪০ হাজার মানুষের বসবাস। সিডর, আইলা থেকে শুরু করে ১৩টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ গাবুরাতে আঘাত হেনেছে।  এতে রাস্তাঘাট স্কুল থেকে শুরু করে চিকিৎসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বেড়িবাঁধ নাজুক হয়ে পড়ে। বর্তমানে সরকারি উদ্যোগে বেড়িবাঁধ রক্ষায় গাবুরা ইউনিয়নে  ১ হাজার ২৩ কোটি টাকায় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে সামাজিক বন বিভাগ যশোর এর উদ্যোগে ১০ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির লবণসহনশীল  গাছের চারা বেড়িবাধে লাগানো হবে। এর মধ্যে তেতুল ২ হাজার, দেশি নিম ১ হাজার, কদবেল ৩ হাজার, অর্জুন ১ হাজার, খয়ের ১ হাজার, পরেশ ১ হাজার ও খৈয়া বাবলার ১ হাজার চারা রোপণ করা হবে। নদী ভাঙন প্রতিরোধ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষাই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।

বাঁধের পাড়ে বসবাসরত জালিয়া খালীর আব্দুল জলিল (৭৫) ও দীন দয়াল সরদার (৭২) বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙানোর কারণে আমাদের বাড়িঘর সব নদীতে চলে গেছে। এখন বাঁধের উপরে বসবাস করি। চরবনায়নের ফলে উপকূলসহ গাবুরা রক্ষার বাঁধ সুরক্ষিত থাকবে।  

বনায়ন কর্মসূচি উদ্বোধনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ বিল্লাহ, ফরেস্টার আছাফুর রহমান, পিএম পিরামিন ইসহাক, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযূষ বাউলিয়া পিন্টু, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি আল মামুন ইসলাম প্রমুখ।  

এমআরএম
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।