বগুড়া: দল পরিবর্তন করে বিএনপি জামায়াতে যোগ দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি বগুড়ার শাজাহানপুরের সাবেক যুবলীগ নেতা আইয়ুব হোসেন ও কৃষকলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিলনের। তাদের নামে মামলা না থাকলেও তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে তারা এখন কারাগারে।
গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন- শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব হোসেন (৪৫) ও গোহাইল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মিলন(৪৩)।
বৃহস্পতিবার(১৭ জুলাই) রাতে শাজাহানপুর উপজেলার খাদাস ও জামাদারপুকুর বাজার থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ আগস্টের পর যুবলীগ নেতা আইয়ুব হোসেন জামায়াতে যোগ দেন। তিনি জামায়াতের সব কর্মসুচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ শুরু করেন। কৃষকলীগ নেতা ও বিআরডিবির সাবেক পরিচালক মিজানুর রহমান মিলন বিএনপির স্থানীয় কিছু নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ শুরু করেন।
এদিকে শাজাহানপুর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আলী ইমাম ইনোকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ দুই নেতাকে মীরজাফর হিসেবে উল্লেখ করে লিখেছেন, কেমন লাগছে দল পরিবর্তন করে অন্য দলে যাওয়ার মজা। তোদের কোনো কালেই ক্ষমা নেই আইয়ুব ও মিলন। কী শেষ রক্ষা করতে পারলি। ১৬ বছর আওয়ামী লীগের সুযোগসুবিধা নিয়ে ৫ তারিখ পরবর্তীতে জামায়াত ও বিএনপিতে গিয়ে শেষ রক্ষা তো করতে পারলি না। দুই মীরজাফরকে গ্রেপ্তার করায় শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ পরিবার খুব খুশি হয়েছে। শাজাহানপুর থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ পরিবার। আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকেও শাজাহানপুর থানা পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন মীর জাফরদের ধরে জেলে নিলে আমরা খুশি হবো।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আইয়ুব আলী ৫ আগস্টের পর জামায়াতে যোগ দিয়েছেন বলে শুনেছি, মিজানুর রহমান মিলনের বিষয়ে তথ্য নেই।
তিনি আরও বলেন, আইয়ুব হোসেন এবং মিজানুর রহমান মিলনের নামে থানায় মামলা নেই। তবে গত মার্চ মাসে শাজাহানপুর থানায় দায়ের করা
একটি হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামি তারা। শুক্রবার দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জিডি/জেএইচ