ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে সিএনজি অটোরিকশা মালিক শ্রমিকরা।
রোববার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে জেলাজুড়ে প্রধান প্রধান সড়কসহ মহাসড়কে সব ধরনের অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বেশ কয়েকজন অটোরিকশা যাত্রীরা জানান, আমাদের বিভিন্ন উপজেলা থেকে অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কোনো সিএনজি অটোরিকশা সড়কে চলাচল করছে না। এতে আমাদের বিভিন্ন উপায়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাও আটকে দিচ্ছে। অটোরিকশা দেখলেই তারা চাকার হাওয়া ছেড়ে দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এতে আমাদের নিকট গন্তব্যে হেঁটে এবং দূরবর্তী স্থানে বাসে করে যেতে হচ্ছে। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও অসুস্থদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হেবজুল করিম জানান, প্রতিদিন নানা অজুহাতে ট্রাফিক পুলিশ তাদের থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্তেও অনেক সময় বিনা কারণে গাড়ি জব্দ করে। লাইসেন্স নবায়ন ও অনুমোদনের ক্ষেত্রে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না বলে দাবি চালকদের। তারা বলেন, যেসব অটোরিকশার নবায়ণ বাকি রয়েছে সেগুলোর জন্য সময় চান তারা।
তারা আরও বলেন, শিগগিরই জব্দকৃত অটোরিকশাগুলো ছেড়ে দেওয়া এবং ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. আনোয়ারকে অপসারণ না করা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।
পুলিশ সুপার মো. এহতেশামুল হক বলেন, আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ছাড়া ৭০টির বেশি অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। কাগজপত্র নবায়ন করা হলে জব্দকৃত অটোরিকশাগুলো ছেড়ে দেওয়া হবে। এছাড়া বিশৃঙ্খলা এড়াতে মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
আরএ