পটুয়াখালী: জেলার দুমকি উপজেলার আলোচিত জুলাই শহীদের মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে দুইজনকে ১৩ বছর ও একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিলুফার শিরিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়। যেহেতু মামলার বিচার কার্য শুরুর আগে আসামি সাকিব, সিফাত মুন্সি ও ইমরান মুন্সিকে কিশোর হিসেবে দেখানো হয়েছে তাই আসামিদের নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯ এর ৩ ধারায় ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এদের মধ্যে আসামি সাকিব ও সিফাত মুন্সিকে ৮ এর ৭ ধারায় পর্ণোগ্রাফি আইনে আরও ৩ বছর করে মোট ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলার নথি ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নের রাজগঞ্জ গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে নানাবাড়ি ফেরার পথে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তিন কিশোর। পরদিন ১৯ মার্চ ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে দুমকি থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ঘটনার এক মাস আট দিন পর, ২৬ এপ্রিল ঢাকার শেখেরটেক এলাকার একটি বাসা থেকে তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ, প্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এ সাজা দেওয়া হয়। আলোচিত এ মামলার রায়ে আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাধারণ মানুষ ও মানবাধিকারকর্মীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরএ