ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

একাত্তর

১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ হানাদার মুক্ত দিবস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৬
১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ হানাদার মুক্ত দিবস প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহ হানাদার মুক্ত হয় দিবস ১০ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এদিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সম্মুখযুদ্ধে ময়মনসিংহ থেকে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়।

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ হানাদার মুক্ত হয় দিবস ১০ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এদিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সম্মুখযুদ্ধে ময়মনসিংহ থেকে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়।

হানাদার মুক্ত করতে পাকহানাদার ও রাজাকার-আল শামসদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে। এ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের আকাশে উড়ে লাল-সবুজের পতাকা।

জানা গেছে, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ময়মনসিংহবাসীও জীবনবাজী রেখে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সংগ্রামী ছাত্র-জনতা ২৭ মার্চ শহরের খাগডহর এলাকার তৎকালীন ইপিআর ক্যাম্প ঘেরাও করে। ক্যাম্পে থাকা ইপিআরের বাঙ‍ালি সদস্যরা ছাত্র-জনতার সঙ্গে যোগ দিয়ে যুদ্ধ করেন।

দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টার যুদ্ধে ১২১ পাক বাহিনীর সদস্য নিহত হয় ও ১৭ জন আত্মসমর্পণ করে। শহীদ হন সাতজন মুক্তিযোদ্ধা।

এরপর ময়মনসিংহ জেলায় মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্ত‍া-কর্মচারীসহ এফএফ, এমএফ, বিএলএফ ও স্থানীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রায় পাঁচ হাজার মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করেন।

২৯ এপ্রিল সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাটের পানিহাটা ক্যাম্প মুক্তিযোদ্ধাদের হাতছাড়া হলে হাজার হাজার মুক্তিপাগল জনতা ভারতের মেঘালয় রাজ্যে আশ্রয় নেন ও ইয়ুথ ক্যাম্পের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এফএফ এবং বিএলএফ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে জেলার বিভিন্ন রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

এ অঞ্চলের যুবকদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ঢালু ইয়ুথ ক্যাম্পের প্রধান ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান। শিববাড়ি ইয়ুথ ক্যাম্পের প্রধান ছিলেন হাতেম আলী তালুকদার এমপি।

৩ ডিসেম্বর থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানীদের বাধা অতিক্রম করে ময়মনসিংহ শহরের অভিমুখে যাত্রা করে। ১০ ডিসেম্বর ভোরে তারা শহরে প্রবেশ করে। আগের রাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে মুক্তাগাছা হয়ে পালিয়ে যায় শক্র সেনারা।

সরকারের ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান ও মিত্রবাহিনীর প্রধান ব্রিগেডিয়ার সান সিং বাবাজীর নেতৃত্ব ময়মনসিংহ শহরে প্রবেশ করে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।

সবাই জড়ো হন সার্কিট হাউজে। অনুষ্ঠিত হয় বিজয় মিছিল। সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করেন বর্তমান ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান।

এদিকে, ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস উপলক্ষ্য জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে নগরীর ছোট বাজার মুক্ত মঞ্চে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৬

এমএএএম/এএটি/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।