ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

’৯৬ সালের শেয়ার কারসাজির আরেক মামলার বিচার শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭
’৯৬ সালের শেয়ার কারসাজির আরেক মামলার বিচার শুরু

ঢাকা: দুই দশক পর ১৯৯৬ সালের শেয়ার কারসাজির দায়ে করা সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টসের মামলার বিচার কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে দ্বিতীয় দফায় মামলার বিচার কাজ শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে অবস্থিত পুঁজিবাজারে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠিত স্পেশাল ট্রাইবুন্যালে এ মামলার বিচার শুরু হয়।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দায়ের করা মামলায় এদিন আসামিরা আদালতে জামিন আবেদন করেন।

আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।  

আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার ইফতেখার জুনায়েদ, অ্যাডভোকেট নোমান মাহমুদ মিয়া ও ব্যারিস্টার সাইমুন সাদি।

মামলার আসামিরা হলেন- সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টসের তৎকালীন পরিচালক এমজি আজম চৌধুরী, মো. শহীদুল্লাহ ও অধ্যাপক মাহবুব আহমেদ।

অ্যাডভোকেট নোমান মাহমুদ মিয়া বলেন, মামলাটির বিচারকার্য শেষ করার জন্য আসামিরা স্ব-উদ্যোগে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন। এতে পুঁজিবাজার বিষয়ক ট্রাইবুন্যালে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার এমজি আজম চৌধুরী ও মো. শহীদুল্লাহের পক্ষে জামিন আবেদন করলে বিচারক আকবর আলী শেখ তা মঞ্জুর করেছেন।

বিএসইসির প্যানেল আইনজীবী মাসুদ রানা খান বাংলানিউজকে বলেন, আসামিরা ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে ফায়দা লুটেছে। যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে ১৯৯৭ সালে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যা উচ্চ-আদালতের নির্দেশে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। আসামিদের উদ্যোগে মামলাটি আবার চালু হয়েছে।
 
জানা গেছে, আসামিরা ’৯৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টসের পক্ষে বাজারকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করেন। এ ক্ষেত্রে বিধিবর্হিভূত বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেন। যারা বেআইনিভাবে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শেয়ার ব্যবসায় করে।
 
আসামিরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিভিপি’র মাধ্যমে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার লেনদেন দেখান। যা ছিল অনিষ্পন্ন। যার কোন রেকর্ড ডিএসইতে নাই। মূলত তারা লেনদেন না করেও করেছেন বলে অবৈধভাবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করেন। এর মাধ্যমে আসামিরা বাজারকে প্রভাবিত করেন। যা ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশের সেকশন ১৭(ই) (২) (৫) অনুযায়ী বেআইনি। একইসঙ্গে এই অধ্যাদেশের ২৪ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য।
 
জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে শেয়ার কারসাজির জন্য বিএসইসি সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস, পরিচালক এমজি আজম চৌধুরী, মো. শহীদুল্লাহ ও অধ্যাপক মাহবুব আহমেদের বিরুদ্ধে ১৯৯৭ সালে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করে। এরপরে মামলাটি ১৯৯৯ সালে মহানগর দায়রা জজ কোর্টে স্থানান্তরিত হয়।

যা সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তরিত হয়েছে। তবে মামলাটি এখানে শুরু থেকেই উচ্চ-আদালতের নির্দেশে স্থগিত ছিল।
 
 বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪,২০১৭
 এমএফআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।