ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

লেনদেন শুরুর আগেই ওয়াইম্যাক্সের লভ্যাংশ  ঘোষণা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
লেনদেন শুরুর আগেই ওয়াইম্যাক্সের লভ্যাংশ  ঘোষণা

ঢাকা:পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর আগেই লভ্যাংশ ঘোষণা করে বসেছে ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস লিমিটেড। এই কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন নিয়েই বোনাসের লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

অথচ প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে এখনো সেই টাকা ব্যবহার শুরু করতে পারেনি। শুরুও হয়নি লেনদেন।

এমন ঘটনা পুঁজিবাজারের ইতিহাসে বিরল।

কোম্পানির একটি বিশ্বস্ত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রমতে, চলতি বছরের ২৩ ও ২৪ অক্টোবর কোম্পনিটিকে বাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচঞ্জের (সিএসই) পরিচালনা পরিষদ।

অনুমোদন পাওয়ামাত্র চারদিন পর তড়িঘড়ি করে গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) কোম্পানির পর্ষদ এই লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

কোম্পানির পর্ষদ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ব্যবসায় বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। অথচ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরুর আগেই শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমে গেছে। এমতাবস্থায় কোম্পানির বোনাস শেয়ার ঘোষণার যোক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সাধারণত ব্যবসায় সম্প্রসারণের লক্ষ্যেই কোম্পানিগুলো বোনাস শেয়ার প্রদান করে থাকে। কিন্তু ব্যবসায় সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আইপিওতে উত্তোলিত অর্থ এখনো ব্যবহার করতে পারেনি ওয়াইম্যাক্স। এমনকি প্রসপেক্টাস অনুযায়ী এই ফান্ড ব্যবহার করতে ১ বছর সময় লাগবে।

এ বিষয়ে কোম্পানির প্রধান অর্থ-কর্মকর্তা (সিএফও) মো. ইকরামুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কমপ্লায়েন্স মেনেই অর্থবছর শেষ হওয়ার ১২০ দিনের মধ্যেই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছি।

দেখা গেছে, চলতি বছরে ওয়াইম্যাক্স পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। যার শতভাগ এখনো অব্যবহৃত রয়েছে। এই অর্থ পুরোপুরি ব্যবহার করতে ১ বছর বা প্রায় ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় পাবে তারা। তারপরও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মুনাফা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ না করে বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরুর আগেই শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) কমে গেছে। কোম্পানিটির ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ২ দশমিক ১৯ টাকার ইপিএস ২০১৬-১৭ অর্থবছরে হয়েছে ২ দশমিক ০৯ টাকা। এক্ষেত্রে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ইপিএস কমেছে ১০ পয়সা বা ৫ শতাংশ।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের ইপিএস গণনায় আইপিওতে ইস্যুকৃত ১৫ কোটি টাকার শেয়ার বিবেচনায় আসেনি। কারণ এই শেয়ার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের পরে ইস্যু করা হয়েছে। অন্যথায় কোম্পানিটির ইপিএস নেমে আসত ১ দশমিক ৪১ টাকায়। তবে কোম্পানির ঘোষিত ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার আইপিওতে বিজয়ী বিনিয়োগকারীসহ সবাই পাবেন।

বোনাস শেয়ার ইস্যুতে ওয়াইম্যাক্সের মূলধন বাড়বে ৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এছাড়া রিজার্ভের পরিমাণও বাড়বে। কোম্পানিটির ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ২ দশমিক ০৯ টাকা হিসেবে মোট মুনাফা হয়েছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এর বিপরীতে কোম্পানিটির পর্ষদ ১০ শতাংশ হারে প্রতিটি শেয়ারে ১ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এ হিসাবে মুনাফা থেকে ৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বা ৭১ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে বাকি ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বা ২৯ শতাংশ রিজার্ভে যোগ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
এমএফআই/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।