ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

মেঘনা সিমেন্টের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
মেঘনা সিমেন্টের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা মেঘনা সিমেন্টের এজিএম/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নানা প্রতিকূল পরিবেশে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে দুই যুগ পেরিয়ে প্রাইভেট খাতে প্রথম সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা সিমেন্ট।

প্রতি বছরের মতো ২০১৭ সালেও প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যাশা অনুযায়ী লভ্যাংশ দিয়েছে। বছরটিতে মেঘনা সিমেন্ট শেয়ারহোল্ডাররা ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) প্রতিষ্ঠানটির ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বার্ষিক বিবরণী, আর্থিক হিসাব ও পরিচালকদের প্রতিবেদন শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিতে অনুমোদিত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারের উপস্থিতি ও তাদের মতামতের ভিত্তিতে এজিএম অনুষ্ঠিত হয়।

মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক এ আর রশিদীর সভাপতিত্বে এতে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন নিরপেক্ষ পরিচালক খাজা আহমেদুর রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ময়নাল হোসেন চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) মাহবুব হায়দার খান, বসুন্ধরা গ্রুপের তথ্য ও গণমাধ্যম উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন- উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব-উজ-জামান, তৌহিদুল ইসলাম, কোম্পানি সচিব এম নাসিমুল হাইসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কমপ্ল্যায়েন্স নিরীক্ষকরা।

সভাপতির বক্তব্যে এ আর রশিদী বলেন, সব শেয়ারহোল্ডারদের অব্যাহত সহযোগিতায় প্রাইভেট খাতে দেশের প্রথম সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা সিমেন্ট আজ (১২ ডিসেম্বর) দুই যুগ পেরিয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। নানা প্রতিকূলতার সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পেরেছে।  

দিনকে দিন মানসম্পন্ন সিমেন্টের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামীতে উৎপাদন দ্বিগুণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন পরিচালক।

বার্ষিক বিবরণীতে থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে কোম্পানির বিক্রয়লব্ধ আয় ছিল ৪৯৮ কোটি ১ লাখ টাকা। যা বিগত বছরে অর্থাৎ ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ছিল ৪৯৬ কোটি ৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ এবছর বিক্রি থেকে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এ অর্থ বছরে রাফতানি বাজারে সিমেন্ট বিক্রির মাধ্যমে আয় হয়েছে ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। যা ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ছিল ৯৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ রাফতানি বাজারে বিক্রয়লব্ধ আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৫২ শতাংশ।

২০১৬-১৭ অর্থ বছরে মেঘনা সিমেন্ট কোম্পানি ৮ দশমিক ৫২ লাখ মেট্রিক টন সিমেন্ট স্থানীয় বাজারে বাজারজাত করেছে। যা ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ছিল ৭ দশমিক ৮৯ লাখ মেট্রিক টন। এ আর্থিক বছরে ২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন সিমেন্ট রফতানি বাজারে বাজারজাত করা হয়েছে।

মেঘনা সিমেন্ট ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে ৮ দশমিক ৫৫ লাখ মেট্রিক টন সিমেন্ট উৎপাদন করেছে। যা গত আর্থিক বছরে ছিল ৭ দশমিক ৮১ লাখ মেট্রিক টন।

উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে মেঘনা সিমেন্ট কোম্পানি ডেনমার্ক এর এফএল স্মিথ নামক কোম্পানির সঙ্গে ভার্টিকেল রোলার মিল মেশিনারিজ আমদানি ও চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ভার্টিকেল রোলার মিল মেশিনারিজ স্থাপন শেষ হলে উৎপাদন ক্ষমতা বছরে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টনে দাঁড়াবে। ভার্টিকেল রোলার মেশিনারিজ আমদানিতে প্রায় ২৪৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয় হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি এ নতুন যন্ত্রটি চালু করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন মেঘনা সিমেন্টের পরিচালনা বোর্ড।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
এসএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।