ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিলো ১৮৮ দশমিক ৮০ টাকা। সেখান থেকে গত তিন কার্যদিবসে (গত ০৫ মার্চ পর্যন্ত) শেয়ারটির দাম বেড়ে দাঁড়ায় ২১৩ দশমিক ২০ টাকায়।
স্বল্প মেয়াদে ৩০ কোটি ৪৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা ঋণগ্রস্ত কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় ডিএসইর নজরে এসেছে। এ জন্য শেয়াটির দাম বৃদ্ধির পেছনে সংবোদনশীল তথ্য রয়েছে কি-না জানতে চেয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। জবাবে দাম বৃদ্ধির পেছনে কোনো সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
১৯৮১ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে এখন রয়েছে ৫২ দশমিক ০২ শতাংশ শেয়ার। এছাড়াও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৭ দশমকি ২৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ার। অন্যদিকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে দশমিক ০৩ শতাংশ শেয়ার।
জুন-২০১৭ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের নগদ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানিটির (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৭) গত ছয় মাসে কোম্পানির মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর মধ্যে প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা হয়েছিলো ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা হয়েছে ৯৬ কোটি ১০ হাজার টাকা। এতে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৩৭ পয়সা।
৬১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা রিজার্ভে থাকা কোম্পানিটি এর আগে ২০১৫ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিলো। তার আগে ২০১১ সালে ৩০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ