বুধবার (০৮ আগস্ট) ডিএসইর ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (০৭ আগস্ট) একই কারণে ১৩ কোম্পানিকে শোকজ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কে এ এম মাজেদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, উৎপাদনহীন ও দুর্বল মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ থেকে বিনিয়োগকারীদের সচেতন করার পাশাপাশি কোম্পানিগুলো গত ৫ বছর ধরে কেন বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়নি, কোম্পানির বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি? সেগুলো জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের বিষয়গুলো জানার পর তালিকাচ্যুতির আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এ নিয়ে মোট ১৫ কোম্পানিকে শোকজ করা হয়েছে। এ তালিকায় আরও বেশ কিছু কোম্পানি রয়েছে, ক্রমান্বয়ে ওই কোম্পানিগুলোকেও নোটিশ পাঠানো হবে।
কোম্পানি দু’টির মধ্যে সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেড ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়েগকারীদের হাতে ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪১ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এ ছাড়া সরকারের হাতে রয়েছে দশমিক ৩৪ শতাংশ শেয়ার। কোম্পানিটি ২০১২ সালে সর্বশেষ ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিলো।
কোম্পানি ইনফরমেশন নেটওয়ার্কস লিমিটেড ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিভুক্ত হয়। বর্তমানে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৪১ দশমিক ৬২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৬৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিটিও সর্বশেষ ২০১২ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিলো।
ডিএসই সূত্র জানা যায়, কোম্পানিগুলো নিয়মিত লভ্যাংশ বিতরণ ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করছে না। ফলে বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হচ্ছেন। পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিএসইর তালিকাচ্যুত (ডিলিস্টিং) ২০১৫ এর ৫১/১ এর আইন অনুযায়ী এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৮ জুলাই এ আইনের ক্ষমতাবলে দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকা রহিমা ফুড ও মডার্ন ডাইং অ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্টিংকে তালিকাচ্যুত (ডিলিস্টিং) করে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৮
এমএফআই/ওএইচ/