ঢাকা: ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) ক্যাম্পাসে “আন্তর্জাতিক পরিবেশ নীতি, সবুজ শিক্ষা, নেতৃত্ব ও যোগাযোগ-২০২৫” শীর্ষক কর্মশালা হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বসুন্ধরা শুভসংঘ আইইউবিএটি শাখার উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী এ কর্মশালা হয়।
কর্মশালায় দেশি-বিদেশি পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ ও প্রশিক্ষকরা অংশ নেন এবং তরুণদের পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সকাল ১০টায় স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মশালার সূচনা হয়। এরপর একে একে বিভিন্ন সেশন অনুষ্ঠিত হয়:
ইন্টারেক্টিভ সেশন: নার্গিস আকতার পরিবেশ নীতি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেন।
সবুজ শিক্ষা বিষয়ক আলোচনা: এম. এ. মাহমুদ ইয়োমিন পরিবেশবান্ধব জীবনযাত্রা ও সবুজ অভ্যাস গড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
দলগত কার্যক্রম: অংশগ্রহণকারীরা হাতে-কলমে পরিবেশের সমস্যা সমাধানের অভিজ্ঞতা লাভ করেন।
যোগাযোগ ও শিক্ষা ব্যবস্থা সেশন: আবির আল হাসমী আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি ও কার্যকর যোগাযোগ কৌশল তুলে ধরেন।
প্যানেল আলোচনা: রেহান দস্তগীরসহ শিক্ষক ও অতিথিরা শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
নেতৃত্ব বিষয়ক কর্মশালা: এম. এ. মাহমুদ ইয়োমিন আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের দক্ষতা নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয় এবং গ্রুপ ফটো সেশনের মাধ্যমে কর্মশালার সমাপ্তি ঘটে।
শুভসংঘের কার্যক্রম উপস্থাপনা
কর্মশালায় বসুন্ধরা শুভসংঘের বিভিন্ন পরিবেশ ও সমাজকল্যাণমূলক কাজ নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মো. নাফিজ হাসান। এতে সংগঠনের কার্যক্রমের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বসুন্ধরা শুভসংঘ আইইউবিএটি শাখার প্রেসিডেন্ট দীপ্ত পাল।
তিনি বলেন, পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। এ কর্মশালা আমাদের সেই যাত্রার একটি অংশ।
এছাড়া সাংগঠনিক কমিটির সদস্যদের মধ্যে দীপ্ত পাল, মো. নাফিজ হাসান, অপূর্ব দাস তুর্য, অর্পিতা বিশ্বাস, জাহারা কবির, মো. তানজিল আহাম্মদ চৌধুরী, শোভন কুমার শীল, রাইমুন বিশ্বাস, আব্দুস সালাম সায়েমসহ আরও অনেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অধ্যাপক ড. আব্দুর রব (উপাচার্য, আইইউবিএটি) পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির উদ্ভাবক হতে হবে।
আইইউবিএটির সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. মাহমুদুর রহমান বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে পরিবেশ সচেতনতাকে শিক্ষাব্যবস্থার মূলভিত্তি করতে হবে।
এম. এ. মাহমুদ ইয়োমিন (প্রতিষ্ঠাতা, শিশু উল্লাস) বৈশ্বিক পরিবেশ নীতির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, তরুণদের সচেতনতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।
নাসরিন নাদ্রি (আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষক) নেতৃত্বের গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, প্রতিটি তরুণকে নিজের ক্ষেত্র থেকে পরিবেশের নেতৃত্ব দিতে হবে।
নার্গিস আকতার (জ্যেষ্ঠ গবেষক) পরিবেশ নীতি ও এর সঠিক প্রয়োগের ওপর জোর দেন।
বিয়েনা বাই (ইন্টারন্যাশনাল স্পিকার, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন) আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তাসলিমা খান উষা (প্রকল্প পরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়) শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবেশ নীতি অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।
রেহান দস্তগীর (অধ্যাপক, আইইউবিএটি) বলেন, শিক্ষার্থীদের বইয়ের বাইরে সমাজ ও পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা শিখতে হবে।
মো. ফরহাদ হোসেন (সহকারী অধ্যাপক, আইইউবিএটি) শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবেশ জ্ঞানের অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর দেন।
মো. আমিরুল মোমেনিন মানিক (পরিচালক, হামদার্দ ল্যাবরেটরিজ) কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
প্রকৌশলী মো. কৌশিক আহমেদ (টেকনিক্যাল লিড): পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের আহ্বান জানান।
শামিম আহমেদ (প্রতিষ্ঠাতা, নেক্সট কমিউনিকেশন): পরিবেশ সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে যোগাযোগের ভূমিকা তুলে ধরেন।
সৈয়দ রেথওয়ানুল কবির (সিনিয়র ম্যানেজার, আইবিএন সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস): শিল্প-প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বের ওপর আলোকপাত করেন।
আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এ কর্মশালা শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি, নেতৃত্বের দক্ষতা বিকাশ এবং কার্যকর যোগাযোগ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এসআই