দ্য পেনিক সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে উঁচু আবাসিক ভবন। ১৫৬ মিটার উঁচু এ স্থাপনায় রয়েছে ৭টি ভবন।
চায়না টাউন থেকে হাঁটলে ১০ মিনিটের পথ। জি ব্লকের ভবন খুঁজে পেতে সময় লেগে গেল। ভবনের নিচেই টিকেট কাউন্টার। ৬ ডলার(৩৬০ টাকা) দিলে ছাদে যাওয়ার অনুমতি মিলবে।
৫০ তলায় উঠতে লিফটে ৩০ সেকেন্ডের কম সময় লাগলো। ছাদে উঠেই চোখ আটকে গেলো আকাশে। আসলে আকাশেই তো রয়েছি! সূর্য তখন অস্ত যাচ্ছে। পশ্চিম আকাশ লাল হয়ে আছে। তবে আমার সাধ পূরণ হলো না। সাগরের বুকে সূর্যকে হারিয়ে যেতে দেখলাম না। সিয়ান বললেন, এখানে এমনটা হয় না।
আমাদের হতাশা দেখে আশ্বস্ত করে বললেন, তবে সন্ধে হলে শহরটা দেখতে ভাল লাগবে।
সিঙ্গাপুরের পুরো পোর্ট দেখা যায় এখানে। সিয়ান বললেন, পোর্টে এখন ব্যস্ততা কম। জাহাজগুলো নোঙ্গর করে আছে।
২৮০ মিটার উঁচু ইউওবি প্লাজা, ২৭৭ মিটার উঁচু রাফেলস ওয়ান, ভবনের জন্য কিছু জায়গা দেখা যায় না। তা বাদে পুরো শহরটাই চোখের সামনে। ইন্দোনেশিয়ার দামার বললেন, সিঙ্গাপুরতো আসলেই ছোট। চারদিকের সাগরই দেখা যাচ্ছে এখান থেকে।
পুরো ছাদটা ২৫০ মিটারের। ঘুরতে সময় লেগে যায়। সন্ধ্যের সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠতে থাকে বাতিগুলো। যেন এক যান্ত্রিক শহর আলোকিত হতে থাকে। শরীরের শিরায় রক্ত প্রবাহের মতো আলো জ্বলতে থাকে শহরে।
বড় বিল্ডিংগুলোতে জ্বলজ্বল করে ওঠে বাতি। ভবনের বাইরের দিকে খেলা করতে শুরু করে আলোর বর্ণিল রেখা। আলোর আল্পনা যেনবা। সিয়ান বললেন, এখানে সরকার থেকে ভবনের বাইরেটা আলোকিত করার জন্য অর্থ দেয়া হয়।
অন্ধকার আকাশ থেকে দেখতে এই ঝলমলে শহরকে যেন যান্ত্রিক শরীরে আলোর শতঝাড় প্রদর্শনীর মতো দেখায়।
বাংলাদেশ সময়:ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭
এমএন/জেএম