গ্র্যান্ডস্লাম পরিচালনার প্রথম শর্তই হলো তাকে হতে হবে হোয়াইট ব্যাজধারী রেফারি। সেই স্বপ্ন পূরণের সিঁড়ির প্রথম ধাপে অবশেষে পা রেখেছেন মাসফিয়া।
আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের অনুমোদনক্রমে ও মালয়েশিয়া টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় কুয়ালালামপুরে ২৪ থেকে ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আইটিএফ হোয়াইট ব্যাজ স্কুল’। হোয়াইট ব্যাজ স্কুলে বাংলাদেশের মাসফিয়া আফরিন অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সঙ্গে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাতে আইটিএফ কর্তৃক ‘হোয়াইট ব্যাজ রেফারি’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।
মাসফিয়ার আগে ২০০০ সালে হোয়াইট ব্যাজের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন বাংলাদেশের সারোয়ার মোস্তফা জয়। তিনি পেয়েছিলেন চেয়ার আম্পায়ার হিসেবে। রেফারি হিসেবে মাসফিয়াই প্রথম এই স্বীকৃতি পেয়েছেন। টেনিস ম্যাচে একজন রেফারির অধীনে কয়েকজন চেয়ার আম্পায়ার থাকেন।
হোয়াইট ব্যাজ আন্তর্জাতিক টেনিস রেফারিংয়ে অনেকটা প্রাথমিক ধাপ। এরপর রয়েছে সিলভার ও গোল্ডেন ব্যাজ। মূলত গোল্ড ব্যাজধারীরা উইম্বলডন, ইউএস ওপেন অলিম্পিকের মতো বড় ইভেন্টের খেলা পরিচালনা করেন। সিলভার ব্যাজধারীরা থাকেন ডেভিস কাপ এবং এই জাতীয় খেলায়। মাসফিয়া আফরিন হোয়াইট ব্যাজ স্বীকৃতির ফলে আইটিএফ অনুমোদিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতা পরিচালনা করতে পারবেন মাসফিয়া।
বাংলাদেশের প্রথম নারী রেফারি হিসেবে হোয়াইট ব্যাজ অর্জনের পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় মাসফিয়া বলেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত হোয়াইট ব্যাজ রেফারি হতে পেরে স্বস্তি লাগছে। এটা শুধু আমার একার সাফল্য নয়। এই সাফল্য বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের। ভারতীয় রেফারি অভিষেক মুখার্জীকে ধন্যবাদ; যিনি আমাকে এ বিষয়ে অনেক সহযোগিতা করেছেন। আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন এটা পেতে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৬৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
এআর/এএইচএস