বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বড় একটি অর্জনের পথে এগোচ্ছে টঙ্গির আর্চারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এশিয়ার অন্যতম আর্চারি সংগঠন ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়া এই কেন্দ্রটিকে ওয়ার্ল্ড আর্চারি সাউথ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট সেন্টার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল।
বর্তমানে টঙ্গির আর্চারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ম জাতীয় যুব আর্চারি প্রতিযোগিতা। চারদিনের এই টুর্নামেন্টে টেকনিক্যাল ডেলিগেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে আমরা ইতোমধ্যে মাঠটির পূর্ণ বরাদ্দ পেয়েছি আর্চারির ট্রেনিং একাডেমি হিসেবে। এখন আমরা চেষ্টা করছি একে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত আর্চারি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার হিসেবে গড়ে তুলতে। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালীন এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ’
উল্লেখ্য, আর্চারির এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপও এবার অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশে। আগামী নভেম্বরে ঢাকায় আয়োজিত হবে এই প্রতিযোগিতা, যেখানে আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল।
আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, ‘৩১ মে আমাদের ফেডারেশনের সভায় পূর্ণাঙ্গ আয়োজক কমিটি চূড়ান্ত করা হবে। চেয়ারম্যান হিসেবে চপল ভাই অনেক আগেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। আশা করছি আমরা সবাই মিলে এই চ্যাম্পিয়নশিপ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারব। ’
এদিকে চলমান জাতীয় যুব আর্চারি প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা, ক্লাব, প্রতিষ্ঠান ও সার্ভিস সংস্থার ১৪টি দল। এতে অংশ নিচ্ছে ১৪৩ জন আর্চার, যার মধ্যে পুরুষ ৭১ জন এবং নারী ৭২ জন। অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৮ ও অনূর্ধ্ব-২১ এই তিন ক্যাটাগরিতে মোট ২১টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২১টি স্বর্ণ, ২১টি রৌপ্য এবং ২১টি ব্রোঞ্জ পদকের জন্য চলছে জমজমাট লড়াই। প্রতিযোগিতাটি শেষ হবে ৩১ মে।
এআর/আরইউ