জাতীয় অ্যাথলেটিকসের ট্র্যাকে চোটে পড়েছিলেন গত ফেব্রুয়ারিতে। অস্ত্রোপচারের কারণে দীর্ঘ ছয় থেকে আট মাস ছিলেন দৌড়ের বাইরে।
অবশেষে আবারও ট্র্যাকে ফিরে এসে আজ দেশের দ্রুততম মানবের মুকুট পুনরুদ্ধার করলেন ইমরানুর রহমান।
লন্ডনের ট্র্যাক, চীনের প্রশিক্ষণ মাঠ—সব জায়গায় তিনি ঘাম ঝরিয়েছেন এক স্বপ্নে: আবারও জাতীয় মঞ্চে দ্রুততম হয়ে ওঠা। জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার প্রথম দিনে জাতীয় স্টেডিয়ামের ১০০ মিটার ফাইনালে সেই স্বপ্নই পূরণ করলেন ইমরানুর। যেন ট্র্যাকেই প্রমাণ করে দিলেন—দ্রুতগতির রাজা এখনও তিনিই।
জয়ের পর উচ্ছ্বসিত ইমরানুর বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমি নৌবাহিনীর জন্য জিতেছি। তারা আমাকে সাদরে গ্রহণ করেছে, আমার ফিরে আসার প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব দিয়েছে। চোটে পড়ার পর প্যারিসের পরের সময়টা ছিল ভীষণ কঠিন। অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। আমি হাঁটতে পারিনি, দৌড়াতে পারিনি। আজকে আবার দৌড়াতে পারছি—এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটা আমার ফিরে আসার দৌড়। আমি শুধু চেয়েছিলাম ভালোভাবে দৌড়টা শেষ করতে। জয় বা টাইমিং—এসব মাথায় ছিল না। কেবল চেয়েছিলাম শক্তভাবে দৌড়টা শেষ করতে। ’
দেশের দ্রুততম মানবের তকমা ফিরে পাওয়ার পর ইমরানুর এখন তাকিয়ে আছেন আরও বড় মঞ্চে। তিনি বলেন, ‘সামনে ইসলামিক গেমস আছে, সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস আছে। তবে আমি ধাপে ধাপে এগোতে চাই। যে ট্রেনিংগুলো চোটের কারণে করতে পারিনি, সেগুলোর দিকে মনোযোগ দেব। আমি জানি, আমি এখনও শতভাগ প্রস্তুত নই। তবে আমাদের মূল লক্ষ্য এসএ গেমসে সোনা জেতা। নৌবাহিনী, ফেডারেশন আর দেশের মানুষের সমর্থন পেলে অবশ্যই আমরা ইতিহাস গড়তে পারব। ’
এমএইচএম