বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচটা যেন উৎসবেই পরিণত করল ব্রাজিল। ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে চিলিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিল কার্লো আনচেলত্তির দল।
শুরুর দিক থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। মাত্র পাঁচ মিনিটেই ক্যাসেমিরো বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলে না। তবে দর্শকদের অপেক্ষা শেষ হয় ৩৭ মিনিটে। দুর্দান্ত দলীয় আক্রমণে রাফিনিয়ার শট ফিরিয়ে দেন চিলির গোলরক্ষক, কিন্তু ফিরতি বল মাথার ওপর দিয়ে শটে জালে জড়ান মাত্র ১৭ বছর বয়সী এস্তেভাও উইলিয়ান। পেলের পর এত অল্প বয়সে গোল করার কৃতিত্ব আর কোনো ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের নেই।
প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়া চিলির জন্য আরও বড় ধাক্কা আসে যখন মারিপানকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। যদিও পরে ভিডিও রিপ্লে দেখে সেটি পরিবর্তন করে হলুদ কার্ড দেন।
বিরতির পর ম্যাচে নামানো হয় বেশ কয়েকজন বদলি খেলোয়াড়কে। সেখানেই আলো ছড়ান লুকাস পাকেতা। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা এই মিডফিল্ডার লুইস হেনরিকের ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করে দ্বিগুণ করেন ব্যবধান। চার মিনিটের মধ্যেই ব্রাজিল পায় তৃতীয় গোল। এবার হেনরিকের শট বারের সঙ্গে লেগে ফিরলে সেটি ঠেলে দেন ব্রুনো গুইমারেস।
পুরো ম্যাচেই ছিল ব্রাজিলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। ৬৪ শতাংশ বল দখলে রেখে তারা শট নেয় ২২টি, যার মধ্যে ৭টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে চিলি চেষ্টা করলেও একটিও শট রাখতে পারেনি ব্রাজিলের পোস্টমুখে।
এই জয়ে চিলির বিপক্ষে নিজেদের আধিপত্য আরও সুদৃঢ় করল সেলেসাওরা। সবমিলিয়ে দুই দলের ৭৫তম মুখোমু ম্যাচে এটি ব্রাজিলের ৫৩তম জয়। ম্যাচ শেষে মারাকানায় উৎসব করেছে স্বাগতিক সমর্থকেরা।
এআর