ঢাকা: ‘জরিমানার সাড়ে ১৬ লাখ টাকা কিছু আগেই (রোববার) জমা দিয়ে এলাম বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর হাতে। আশা করি আমার বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা উঠিয়ে নেবে বাফুফে।
গত ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের এই উইঙ্গারকে শাস্তি দেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বাফুফের কাছে জাহিদের বিরুদ্ধে ঢাকা মোহামেডান ক্লাব এই বলে অভিযোগ করে, 'পারিশ্রমিকের পুরো টাকা নিয়েও তিনি নানা অজুহাতে ঠিকমতো খেলেননি। ইনজুরির অজুহাত দিয়ে অনেক ম্যাচে ইচ্ছে করেই বাইরে ছিলেন। এছাড়া ঠিকমতো অনুশীলনেও হাজির থাকেননি। '
মোহামেডান চারবার জাহিদকে শো-কজ করলেও জাহিদ তার কোনো জবাবই দেননি। ফলে বাধ্য হয়ে মোহামেডান জাহিদকে দুই বছর নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবল আইনে যেহেতু কোন ক্লাব কোন খেলোয়াড়কে সরাসরি শাস্তি দিতে পারে না, তাই মোহামেডান দ্বারস্থ হয় বাফুফের। কেননা শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা আছে একমাত্র বাফুফেরই।
সেই নালিশের প্রেক্ষিতে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি জাহিদকে মোহামেডানের সঙ্গে ব্যাপারটা মিটমাট করে নিতে এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দেয়। তা অতিক্রান্ত হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু মোহামেডানের সঙ্গে কোন সমঝোতা করেননি জাহিদ। এর প্রেক্ষিতে জাহিদকে শাস্তি দেয়া হয়, জাহিদ যদি এই টাকা ফেরত না দেন, তাহলে আগামী এক বছর (২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত) বাংলাদেশ ও বিশ্বের ঘরোয়া কোনো ক্লাবের হয়ে যেকোনো পর্যায়ের ফুটবল ম্যাচ বা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না।
আর যদি জাহিদ গত মৌসুমে মোহামেডানে খেলার সময় যে টাকা (৩৩ লাখ টাকা) পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন, সেই টাকার পঞ্চাশ শতাংশ বাফুফের মাধ্যমে মোহামেডানকে ফেরত দেন, তাহলে তার নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হবে।
বাফুফের সেই নির্দেশ মোতাবেক পারিশ্রমিকের সেই অর্ধেক টাকা ফেরত দিয়েই নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হলেন জাহিদ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫