ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ

সিনিয়র স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৫
সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ

ঢাকা: আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভারতের কেরালার ত্রিবান্দরাম স্টেডিয়ামে গড়াবে দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলের বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১১তম আসর।

গতবারের মতো এই আসরেও প্রতিপক্ষের সীমানায় কাঁপন ধরাতে এরই মধ্যে নিজেদের শেষ প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে আসরে অংশ নেওয়া সবকটি দল।

সেই ধারাবাহিতকায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। নতুন কোচ মারুফুল হকের অধীনে নিজেদের শেষ প্রস্তুতিতে ঘাম ঝরাচ্ছেন বাংলাদেশ শিবিরের যোদ্ধারা।

সাফ ফুটবলে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল আজ থেকে ২০ বছর আগে ১৯৯৫ সালে সাফের দ্বিতীয় আসর থেকে। প্রথম আসর শুরু হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। তবে সেই আসরে বাংলাদেশ অংশ নেয়নি।

১৯৯৫ সালে সাফ পরিচিত ছিল সাউথ এশিয়ান গোল্ড কাপ নামে। ওই বছর শ্রীলঙ্কায় নিজেদের প্রথম আসরে এসেই চমক দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-০ তে জয় নিয়ে পরের ম্যাচে নেপালের কাছে ২-০ তে হেরে গেলেও উঠে যায় সেমিফাইনালে। আর সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে ভারতের কাছে ৪-২ গোলে হেরে তৃতীয় স্থান নিয়ে সাফের প্রথম মিশন শেষ করে লাল-সবুজের দল।

পরের আসর ১৯৯৭ সালে ‘সাউথ এশিয়ান গোল্ড কাপ’ বদলে ‘সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন গোল্ড কাপ’ নামে  নেপালে মাঠে গড়ায় আজকের সাফ যা অব্যাহত থাকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত। এর পর থেকে অবশ্য তা নিয়মিত সাফ নামেই মাঠে গড়িয়ে আসছে। এই আসরে গ্রুপ ‘বি’তে থাকা বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালী ভারত ও মালদ্বীপ। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করলেও দ্বিতীয় ম্যাচ ভারতের কাছে ৩-০ গোলে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় প্রথম আসরের সেমিফাইনালিস্টরা।

তৃতীয় আসরে গ্রুপ পর্বে বাদ গেলেও, রানার্স আপ হয়ে বাংলাদেশ দাপট দেখিয়েছে তার পরের আসরে ১৯৯৯ সালে ভারতে আয়োজিত সাফে। এই আসরে ‘এ’ গ্রুপে থাকা দলটির প্রতিপক্ষ ছিল ভারত ও পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে উঠে যায় সেমিফাইনালে। আর সেমিফাইনালে, নেপালের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে প্রথমবারের মতো সাফের ফাইনালে  ওঠে বাংলাদেশ।

তবে, ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের কাছে ২-০ গোলের হেরে প্রথম বারের মতো রানার্স আপ হবার গৌরব নিয়ে দেশে ফেরে।

খুব কাছে গিয়েও শিরোপা হাত ছাড়া হওয়ার ক্ষুধা লাল-সবুজের দল মেটায় তার পরের আসরেই নিজেদের মাটিতে ২০০৩ সালে। ফাইনালে টাইব্রেকারে মালদ্বীপকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে প্রথম বারের মতো সাফ শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশ।

২০০৫ সালে পাকিস্তানে ব্যাক টু ব্যাক শিরোপা জয়ের হাতছানি ছিল বাংলাদেশের সামনে। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৩-০, নেপালকে ২-০ গোলে হারানোর পর ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে উঠে যায় সেমিফিইনালে। আর সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় ভারতকে। শিরোপা নির্ধারণী সেই ম্যাচে ভারতের কাছে ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরে বাংলাদেশকে আবারও সন্তুষ্ট থাকতে হয় রানার্স আপ হয়েই।   
 
২০০৮ সালে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত সাফের সপ্তম আসরে গ্রুপ পর্বের কোনো ম্যাচে জয় না পাওয়ায় প্রাথমিক ধাপ থেকেই বিদায় নেয় বাংলাদেশ।

পরের আসরে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আয়োজক হলেও স্বাগতিক হওয়ার শতভাগ সুবিধা তুলে নিতে ব্যর্থ হলে সেমিফানালে ভারতের কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয় স্বাগতিকদের।

২০১১ সালে ভারতে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচের একটিতে জয় ও দুটি হারে নক আউট পর্বেও উঠতে পারনি বাংলাদেশ।

সর্বশেষ ২০১৩ সালে নোপ‍ালে অনুষ্ঠিত সাফের দশম আসরে গ্রুপ পর্বের ৩ ম্যাচের ২টিতে হার ও একটি ম্যাচে ড্র করে ব্যাক টু ব্যাক গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়‍ার তিক্ত স্বাদ নিয়ে দেশে ফেরে বাংলাদেশ ফুটবল দল।

সাফের এবারের আসরে ‘বি’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ভুটান। ২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্ট চলবে ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৫
এইচএল/এমজেএফ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।