ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

অলিম্পিক দলের সেমির যাত্রা ‘কঠিন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
অলিম্পিক দলের সেমির যাত্রা ‘কঠিন’ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে: বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে 'বি' গ্রুপ থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ অলিম্পিক দল এবং মালদ্বীপ। গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো মালদ্বীপ।



আর মালদ্বীপের কাছে হেরে নিজেদের সেমিফাইনাল অনিশ্চিত করে তুললো বাংলাদেশ অলিম্পিক দল। সেমিতে খেলতে হলে শেষ ম্যাচে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে স্বাগতিকদের বড় ব্যবধানে জিতলেই চলবেনা, মালদ্বীপ ও বাহরাইনের মধ্যকার ম্যাচে মালদ্বীপকে জিততে হবে।

প্রথমার্ধেই মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। প্রথমার্ধে মালদ্বীপের হয়ে গোল দুটি করেন ইয়াশা ইসমাইল ও ইমাজ আহমেদ। বিরতির পর আর কোনো গোল না হলে এই স্কোরেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মালদ্বীপ।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের লক্ষ্য ছিল এই ম্যাচ দিয়েই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা। এমন লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথমার্ধের ৫ মিনিটেই বাংলাদেশ সীমানায় আক্রমণ রচনা করে মালদ্বীপ। কিন্তু ততটা গোছালো না হওয়ায় গোল পাওয়া হয়নি তাদের। প্রতিপক্ষের এমন আক্রমণ দেখে থেমে ছিল না বাংলাদেশ অলিম্পিক দলও। ১০ এবং ১১ মিনিটে মালদ্বীপ সীমানায় কাঁপন ধরানো দু-দু’টি আক্রমণ করে কাঁপিয়ে তোলে নীল জার্সিধারীদের রক্ষণ।

একে অপরের রক্ষণ ভাগ কাঁপিয়ে তোলার ধারাবাহিকতার ১৬ মিনিটে বাংলাদেশ সীমানার বাঁ দিক দিয়ে ডিফেন্স চেরা আক্রমণ করে ঠিক ডি-বক্স সীমানায় গিয়ে দারুণ এক ক্রস তোলেন নাসিদ আহমেদ। আর সেই ক্রস থেকে জোড়ালো এক গ্রাউন্ড শটে দলকে ১-০ তে লিড এনে দেন ইয়াশা ইসমাইল। এর ৭ মিনিট পর মালদ্বীপের আরেকটি গোছালো আক্রমণ এবং গোল। এবার অবশ্য গোলের নায়ক ইসমাইল নন। তবে তারই কাটব্যাক থেকে আরেকটি দৃষ্টিনন্দন গ্রাউন্ড শটে দলীয় ব্যবধান ২-০ করেন ইমাজ আহমেদ।

টানা দুটি গোল করেও থেমে ছিলনা কোচ হারবার্ট লিক লয়েডের শিষ্যরা। একের পর এক আক্রমণের পসরা সাজিয়ে ব্যস্ত রেখেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক দলের রক্ষণভাগ।

খেলায় ফিরতে পিছিয়ে ছিল না বাংলাদেশও। কিন্তু মালদ্বীপের রক্ষণ দেয়ালের দৃঢ়তায় তাদের প্রতিটি আক্রমণ প্রতিহত হলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে হয় গঞ্জালো সানচেজ মরেনোর দলকে।

বিরতির পর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা করে। তবে এই চেষ্টায় নিজেদের শতভাগ প্রমাণ করতে পারেনি তারা। দ্বিতীয়ার্ধে মালদ্বীপ সীমানায় বেশ কয়েকবার আক্রমণ করেও জালে বল জড়াতে পারেনি, এমনকি গোলপোস্টে একটির বেশি শটও নিতে পারেনি। এর মধ্যে সব চেয়ে ভালো আক্রমণটি ছিল ম্যাচের ৬৫ মিনিটে। মালদ্বীপ সীমানার ডানদিক দিয়ে বল নিয়ে একাই গোলবারের সামনে গিয়েছিলেন সজিব। কিন্তু গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়ে বলটি ধরে দলকে বিপদমুক্ত করেন। এরপর, ২২ মিনিটে আরো একটি ভাল আক্রমণ রচনা করেও ফিনিশিংয়ের অদক্ষতায় কাঙ্খিত গোল বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ অলিম্পিক দল।

বাংলাদেশ যখন ব্যবধান কমানোর চেষ্টায় মরিয়া তখন মালদ্বীপ ব্যস্ত ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টায়। সেই চেষ্টার ফলশ্রুতিতে ৭৯ মিনিটে রেজাউল করিমদের রক্ষণভাগে আঘাত হানে মালদ্বীপ। কিন্তু লাল-সাদাদের রক্ষণদূর্গের কৃপায় এ যাত্রা থেকে বেঁচে যায় পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ।

এরপর পিছিয়ে পড়া অবস্থা থেকে আর বেরিয়ে আসতে না পারায় ম্যাচ শেষে হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬ আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা
এইচএল/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।