লড়াইয়ের প্রথম দিন (শুক্রবার, ২১ জুলাই) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে নেমেছিলেন নাটোরের তরুণী আইরিন আক্তার। অংশ নিয়েছিলেন প্রিয় ইভেন্ট লং জাম্পে।
২০১৫ ও ২০১৬ সালে ফাইলবন্দী ছিল অ্যাথলেটদের অন্যতম ঘরোয়া আসর জাতীয় সামার অ্যাথলেটিক্স। তবে, ২০১৪ সালের পর থেকে এবার নিয়ে মোট চারবার জাতীয় অ্যাথলেটিকসে অংশ নিয়েছেন আইরিন। এবারই প্রথমবারের মতো ক্যারিয়ার সেরা স্কোর গড়েছেন। ৫.৪৭ মিটার স্কোরে হয়েছেন সেরাদের সেরা। ছোটোবেলা থেকেই অ্যাথলেটিক্সের প্রতি আগ্রহ থাকায় ভর্তি হন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)। বাবার অনুপ্রেরণায় বিকেএসপিতে ভর্তি হয়ে চালিয়ে গেছেন নিয়মিত অনুশীলন। এরপর যোগ দেন নেভীতে। কোচ আবদুর রফিকের নিবিড় তত্ত্বাবধানে নিজেকে এগিয়ে চলেছেন আইরিন। নিজের এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের কথা জানাতে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘স্বপ্ন দেখি বড় অ্যাথলেট হওয়ার। বাবা-মায়ের আর পরিবারের অন্যদের অনুপ্রেরণায় এগিয়ে চলেছি। মেয়ে হয়েও অ্যাথলেটিক্সে যোগ দেওয়ার কারণে ছোটোবেলা থেকে কোনো আপত্তি আসেনি। পরিবারের আর সবার মতো আমাকে নিয়ে কোচের প্রত্যাশা অনেক। আমি তাদের প্রত্যাশা মেটাতে চাই। ’
বাংলানিউজের সাথে আলাপকালে দেখা গেল গ্যালারি থেকেই আইরিনকে ডেকে চলেছে একদল তরুণ-তরুনী। শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তারা। আইরিন যোগ করেন, ‘লং জাম্পে ভালো কিছু করতে চাইলে অবশ্যই আপনার স্পিড থাকতে হবে। সাথে থাকতে হবে দৃঢ় মনোবল। আর উচ্চতার সাথে কোনো আপোস চলবে না। এই গুণগুলো দিয়ে আপনি এই ইভেন্টে ভালো করতে পারবেন। ’
দেশের ভেতরে আইডল কে বলতেই গড়গড়িয়ে আইরিন জানালেন, ‘দেশের ভেতর আমি ফৌজিয়া আখতার জুঁই (এসএ গেমসে লং জাম্পে রুপাজয়ী) আপুকে অনুকরণ করি। বিকেএসপিতে তিনি প্রশিক্ষক। জুঁই আপুর রেকর্ড ভাঙতে চাই। তার রেকর্ড ৬.০৬ মিটার। এটা আমাকে ভাঙতেই হবে। নেভী থেকে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে তাদের আকুণ্ঠ সমর্থনকে কাজে লাগিয়ে দেশসেরা জাম্পার হতে স্বপ্ন দেখি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, ২১ জুলাই ২০১৭
এমআরপি