বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় যুব গেমসের বিভাগীয় পর্যায়ের অ্যাথলেটিক্স ও কাবাডি প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের এ সভাপতি বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের উদীয়মান খেলোয়াড়রা অনুশীলনের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে তাদের প্রতিভা ও মেধার পুনঃস্ফূরণ ঘটাবে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ যুব গেমসে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজের উচ্ছ্বাসের কথা তুলে ধরেন জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। একইসঙ্গে বৃহত্তর ময়মনসিংহের জামালপুরে নিজের শৈশব জীবনের স্মৃতিচারণও করেন সেনাপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। ষাটের দশকে আমি জামালপুরে অনেক দিন ছিলাম। আমার বাবা সেখানে চাকরি করতেন। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে বকুলতলায় আমরা থাকতাম।
‘কাবাডি প্রতিযোগিতায় আজ ময়মনসিংহ ও জামালপুরের খেলা হলো। এ খেলা উপভোগ করতে গিয়ে আমি যেন ঠিক শৈশবেই ফিরে গেলাম। শৈশবের দিনগুলোর কথা আমার ভীষণ মনে পড়ছিল। ’
গত ১৮ ডিসেম্বর অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে বাংলাদেশ যুব গেমসের শুভ সূচনার কথা জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক বলেন, সফলতার সঙ্গে প্রথম ধাপের জেলা পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। ৬৪ জেলা থেকে বিভিন্ন ডিসিপ্ল্যানে ২৩ হাজার ২৬০ জন খেলোয়াড় স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছে। যা আমাদের প্রান্তিক পর্যায়ের তরুণ-তরুণীদের খেলোধুলার প্রতি আগ্রহেরই বহিঃপ্রকাশ।
অনুরাগ, প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর অনুশীলন একজন খেলোয়াড়কে সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে সহায়তা করে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, খেলার মান, ১’শ মিটার দৌড় ও কাবাডি প্রতিযোগিতা দেখে আমি খুবই উৎসাহবোধ করছি। এ তরুণ-তরুণীরা ভবিষ্যতে দেশ-বিদেশে সুনাম বয়ে নিয়ে আসবে। তাদের আমরা সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে পারলে সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলোয়াড়ররা বিভিন্ন মেডেল নিয়ে আসবে।
পরে সেনাপ্রধান ময়মনসিংহ বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পাঁচ লাখ টাকার অনুদান ঘোষণা করেন।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঘাটাইল সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল সাজ্জাদুল হক, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক (ডিসি) খলিলুর রহমান, পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভূঞা, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নূরে আলমসহ বেসামরিক ও সামরিক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
পরে সেনাপ্রধান অ্যাথলেটিক্স ও কাবাডি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
এমএএএম/এইচএ/