সফলতার মুখ দেখার পর এখনও ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয়নি। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানের স্কোর পার করতে পারেনি টাইগাররা।
দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ বোলিংয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সাকিব দিনের চতুর্থ ওভারে স্ট্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে প্যাভিলিয়নে ফেরান ডেভন স্মিথকে (১৬)। একই ঘূর্ণিতে দ্রুত পরাস্ত হয়ে কাইরন পাওয়েল (১৮) ও কেমো পল (১৩) ফিরে গেছেন। সাকিবের এই সাফল্যের সঙ্গে অবদান রয়েছে তরুণ উইকেটকিপার নুরুল হাসানের। এছাড়া সকালে ৩২ রানে ৩ উইকেট ছিনিয়ে নিয়েছে সাকিব।
এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর যখন ৫ উইকেটে ৬৪, তখন তাইজুল ইসলামের বলে ১৩ রানে এলবিডব্লিউ দিয়ে আউট হন শাই হোপ। এরপর রোস্টন চেজ ও শিমরন হেটমায়ার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং বিপর্যয় সামলানোর চেষ্টা করলেও তেমন একটা পেরে উঠতে পারেননি। কারণ ১৮ রানে হেটমায়ারকে এলবিডব্লিউ করে দেন আবু জায়েদ।
মধ্যবিরতির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাকি ৪ উইকেটে ২১ রান যোগ করে অলআউট হয় ১২৯ রানে। শেষের এই চার উইকেটের দুটিই আবার নিয়েছেন সাকিব। বাকি দুটি মেহেদী হাসান মিরাজের।
এখন চলছে পরবর্তী ইনিংসের খেলা। খেলার শুরুতেই ৭ বলে ০ রান করে চরম ব্যর্থতা নিয়ে হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হন তামিম ইকবাল। ৩৩ রানে পলের বলে হপের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে তামিমকে অনুসরণ করে টাইগারদের ব্যটসম্যান লিটন দাস। ৪৩ বল খেলে ১৫ রান অর্জন করে চেজের বলে আবার এলবিডব্লিউ। থেমে থাকে নি চেজ। তার বলেই আবারও ক্যাচ ধরে ১০ বলে ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। এ নিউজ প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত ক্রিজে আছেন সেরা বোলিং-এর সফলতাপ্রাপ্ত সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
আশা করা যায়, ভালো বোলিং-এর সঙ্গে তাল রেখেই ব্যটিং-এও চমক দেখাবে সাকিব ও টাইগাররা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
এমএএম/এসআইএস