গায়ানায় দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ ওভারে ৮ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু তা নিতে পারেননি ক্রিজে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন ও মাশরাফি।
বাংলাদেশের ইনিংসের ৪২.৩ ওভারের দেবেন্দ্র বিশুর বলে রিভার্স সুইপ করে মুশফিক। বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তবে সে সময় বোলার এলবিডব্লিউর আবেদন করেন আম্পায়ারের কাছে। আম্পায়ারও আঙুল তুলে দেন।
কিন্তু তার এ সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি মুশফিক। তিনি রিভিউ চান। পরবর্তীতে দেখা যায় বলটি মুশফিকের ব্যাট ছুঁয়েই পার হয়েছে। তার আউটের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়া হলেও মুশফিক বা দলের রানের সঙ্গে যোগ হয়নি কোনো রান। এখানেই হেরে গেল বাংলাদেশ!
আইসিসির আইন অনুযায়ী এর ২৩ নং ধারার ১.৩.১ এ বলা হয়েছে, আম্পায়ার আউট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বলটি ‘ডেড’ হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ ওই ডেলিভারি থেকে ব্যাটসম্যান কোনো রান পাবেন না। আর এ নিয়মেই মুশফিক বাউন্ডারি হাঁকিয়েও পাননি রান।
তবে আম্পায়ারের দেওয়া সিদ্ধান্ত ভুল হলে সে ক্ষেত্রে কী হবে তা লেখা নেই আইসিসির নিয়মে। ব্যাপারটি দৃষ্টি এড়ায়নি ক্রিকেট বিশ্লেষকদের। ক্রিকেট পরিসংখ্যানবিদ রজনীশ গুপ্ত তার ভেরিফাইড টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ওই ৪ রান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আম্পায়ার আউট দেওয়ার জন্য যা মুশফিকুর রহিম পাননি। ডিআরএসের মাধ্যমে সিদ্ধান্তটা পাল্টানো হয়েছে। কিন্তু মুশফিক তো আর বাউন্ডারিটা পাননি। ক্রিকেটীয় আইনের এ প্যাঁচ একদিন বিতর্ক তুলবেই।
অল্প রানের হার এর আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। কিন্তু আইসিসির আইনি জটিলতায় এমন হার এবারই প্রথম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৮
এমকেএম/এসএইচ