মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) শেই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায়।
ম্যাচের শুরুতে ওপেনিং ব্যাটিংয়ে নামা লিটন দাশ দলীয় দ্বিতীয় ওভারে ওশানে টমাসের তৃতীয় বলে গোড়ালিতে গুরুতর চোট পান।
দলীয় ১৩২ রানে উইন্ডিজ পেসার ওশানে থমাসের বলে উইন্ডিজ উইকেটরক্ষক শাই হোপের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নিলেন টানা দুই ম্যাচে ফিফটি তুলে নেওয়া মুশফিকুর রহিম। আউট হওয়ার আগে ৮০ বল খেলে ৫ চারে ৬২ রানের ইনিংস খেলেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে কার্যকরী ৬১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৫১ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৩০ রান করে তিনি রোভম্যান পাওয়েলের বলে বিদায় নেন।
দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। ওশানে টমাসের করা বলে যেন ইচ্ছে করেই তিনি থার্ডম্যান অঞ্চলে বিশুর হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ৮ বলে ব্যক্তিগত ৬ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে মাঠে ফিরেন ইনিংসের শুরুতেই গোড়ালিতে চোট পাওয়া লিটন দাশ। সেই সঙ্গে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪০তম হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান।
ইনিংসের শুরুতে গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া হয়েছিলেন। তবে সুস্থ হয়ে ফিরে ভালো কিছু করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৬ রানে তিনি কেমো পলের বলে আউট হন। এরপর খুব দ্রুতই কেমার রোচের বলে বোল্ড হন সাকিব আল হাসান। ৬২ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন তিনি।
শেষের ওভারগুলোতে রান বাড়ানোর সুযোগ থাকলেও তা করতে পারেননি মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মেহেদি হাসান মিরাজ। মাশরাফি ১১ বলে ৬ ও মিরাজ ১০ বলে সমান ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।
ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে টমাস সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া রোচ, পল, বিশু ও পাওয়েল একটি করে উইকেট দখল করেন।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদি হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: চন্দরপল হেমরাজ, শাই হোপ (উইকেটরক্ষক), ড্যারেন ব্রাভো, মারলন স্যামুয়েলস, শিমরন হ্যাটমায়ার, রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), রোস্টন চেজ, কেমো পল, কেমার রোচ, দেবেন্দ্র বিশু, ওশানে থমাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
এমএইচএম