ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

ক্যালেন্ডারের পাতায় ম্যারাডোনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
ক্যালেন্ডারের পাতায় ম্যারাডোনা দিয়েগো ম্যারাডোনা

ঢাকা: দিয়েগো ম্যারাডোনা – সর্বকালের অন্যতম সেরা আর্জেন্টাইন ফুটবলার। পৃথিবীর কোটি ভক্তদের কাঁদিয়ে চলে যাওয়া ম্যারাডোনা ক্যালেন্ডারের বিভিন্ন বছরকে মানব ইতিহাসে চিরস্মরণীয় করে রেখে গেছেন।

৬০ বছরের চড়াই উতরাই জীবনে ক্যালেন্ডারের বেশ কয়েকটি সাল ম্যারাডোনার নামে বিখ্যাত হয়ে থাকবে।

১৯৭৭
১৯৭৭ সালে হাঙ্গেরির বিপক্ষে সাদা-নীল স্ট্রাইপ জার্সিতে অভিষেক হয় ম্যারাডোনার। অবশ্য রাজধানীর বুয়েন্স আয়ার্সের শ্যান্টি টাউনে জন্ম নেওয়া ম্যারাডোনা হয়তো তখনও জানতেন না যে ফুটবল বিশ্বে অমর হয়ে থাকার শুরুটা সেখানেই।  

১৯৮২

সে বছর প্রথমবারের মতো ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ আসরে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করেন দিয়েগো। একই বছর স্প্যানিশ ক্লাব বার্সালোনা ছেড়ে ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিতে যোগ দেন ম্যারাডোনা। প্রায় ৭৫ হাজার নাপোলি ভক্তের সামনে ক্লাবটির জার্সি দেওয়া হয় তাকে। ঘটনাটির বর্ণনা দিতে গিয়ে সেসময়ের ক্রীড়া প্রতিবেদক ডেভিড গোল্ডব্ল্যাট লিখেছিলেন - 'তারা (নাপোলি সমর্থক) আশ্বস্ত হয়েছেন যে তাদের উদ্ধারকর্তা চলে এসেছেন"।  

১৯৮৬

ফুটবল বিশ্বে ম্যারাডোনাকে এক রকম কিংবদন্তির কাতারে নিয়ে গিয়েছে ১৯৮৬ সাল। সে বছর আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে দেশের জন্য দ্বিতীয় ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ জেতেন। ১৯৭৮ সালের পর তিনিই এখন পর্যন্ত দেশটির শেষ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।  

সে বছরের বিশ্বকাপ জয় যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার থেকে কোনো অংশে কম ছিল না। কোয়ার্টার ফাইনালে সেসময়ের রীতিমতো 'শত্রু' দেশ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমি ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা। তাও যেনতেন ভাবে নয় বরং রীতিমতো হাত দিয়ে গোল করে। ১৯৮২ সালের ফখল্যান্ড যুদ্ধের প্রতিদ্বন্দ্বীদের ভালই ঘোল খাইয়েছিল আর্জেন্টিনা।   

খেলার ৫১ মিনিটে লাফিয়ে উঠে হেড করার ভঙ্গিতে হাত দিয়ে গোল করে বসেন ম্যারাডোনা। ঘটনাটির বর্ণনা দিতে গিয়ে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, "(গোলটি হয়েছিলেন) অল্প ম্যারাডোনার মাথা দিয়ে আর খানিকটা ঈশ্বরের হাত দিয়ে"। আর তখন থেকেই 'হ্যান্ড অব গড' উপাধি জুটে যায় ম্যারাডোনার সাথে।  

১৯৯০

এই বছরটিতেও নিজের সাফল্য ধরে রাখেন দিয়েগো। দলের জন্য ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখতে না পারলেও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। একই বছর নাপোলিকে জিতিয়েছেন দ্বিতীয় সিরিএ লীগ।  

১৯৯১

ফুটবল ঈশ্বরের পতনটা শুরু হয় এবছর থেকেই। সেবারই প্রথম ডোপ টেস্টে মাদক গ্রহণ করে ধরা পড়েন ম্যারাডোনা। সব ধরনের ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হন ১৫ মাসের জন্য।  

১৯৯৪

টানা চতুর্থবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপ আসরে আর্জেন্টিনার হয়ে অংশ নেন ম্যারাডোনা। তবে আবারও মাদক সেবন করে ধরা পড়ায় আসরের মাঝেই বের হয়ে আসতে হয় তাকে। সেবার হয়তো তিনি জানতেন যে এটিই তার শেষ বিশ্বকাপ।  

১৯৯৭

সেবছর টানা তৃতীয় বারের মতো ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসায় সব ধরনের ফুটবলকে বিদায় জানাতে একরকম বাধ্য হন ম্যারাডোনা।  

২০০৮

২০০৮ সালে অবশ্য আবারও আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের সাথে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পান দিয়েগো ম্যারাডোনা। তবে এবার কোচ হিসেবে। কিন্তু সে বছরের বিশ্বকাপে আশানুরূপ ফল না আসায় ২০১০ সালে ম্যারাডোনার সঙ্গে চুক্তি শেষ হলে আর তা বাড়ায়নি আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থা।

বাংলাদেশ সময়ঃ ২৩৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২০

এস এইচ এস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।