বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে কাতারের বিপক্ষে ঘরের মাঠে লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। ২-০ গোলে পরাজিত হলেও কাতারকে বেশ ভুগিয়েছিল লাল সবুজের দলটি।
পুরো ম্যাচজুড়েই বল দখল আর আক্রমণের আধিপত্য দেখায় ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক দলটি। শক্তির বিচারেও অনেক এগিয়ে থাকা কাতারের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ঠেকাতেই ব্যস্ত থাকতে হয় বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো নিশ্চিত গোল রক্ষা না করলে বাংলাদেশ আরও পাঁচটি গোল হজম করতে হতো। পুরো ম্যাচে কাতার গোল মুখে ২৯টি শট করলেও বাংলাদেশ একটি করতে পারেনি।
দোহার আব্দুল্লাহ বিন নাসের বিন খলিফা স্টেডিয়ামে ম্যচের প্রথম মিনিট থেকেই বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরি করতে থাকে কাতার। স্বাগতিকদের গতির সঙ্গে কোনোভাবেই পেরে উঠছিল না। দুই প্রান্ত দিয়ে একের পর আক্রমণ চালাতে থাকে কাতার। ম্যাচের চার মিনিটের মাথায় আহমেদ আলা এলদিনের হেড গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফলে নিশ্চিত গোল বঞ্চিত হয় কাতার।
তবে নবম মিনিটে আর নিজেদের দুর্গ রক্ষা করতে পারেনি বাংলাদেশ। পেনাল্টি বক্সের মাঝখান থেকে আব্দুল আজিজ হাতেমের নেওয়া শট বাংলদেশের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে বল জালে জড়ায়।
১১তম মিনিটে ফের গোলের সুযোগ পায় কাতার। আকরাম আফিফের বাড়ানো বল এলদিনের দেওয়া হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুল হক জিকো। নিশ্চিত গোল হজম থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। এরপর আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় স্বাগতিকরা।
৩০তম মিনিটে পেনাল্টি বক্সের ভেতর থেকে আফিফের নেওয়া শটে ফের ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন জিকো। তবে ৩৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় কাতার। পেনাল্টি বক্সের সামান্য ভেতর থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে দারুণ গোল করেন আফিফ।
প্রথমার্ধের বাংলাদেশ একমাত্র আক্রমণটি করে শেষ মিনিটে। সতীর্থের বাড়ানো বল পেনাল্টি বক্সের ভেতরে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি মাহবুবুর রহমান সুফিল। বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শট নিলে গোলের সুযোগ পেতে পারতো বাংলাদেশ।
বিরতির পরও আক্রমণের ধারা অব্যহত রাখে কাতার। ৫৫ মিনিটে একটি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন আহমেদ আলা। ডিফেন্ডার তপু বর্মনের ভুলে পেনাল্টি বক্সের ভেতরে বল পেয়ে যান আলা। তার নেওয়া শটটি এগিয়ে এসে রক্ষা করেন জিকো।
৬৩ মিনিট ফের গোলের সুযোগ পায় কাতার। সতীর্থের বাড়ানো ক্রস হেড দেন আলমোয়াজ আলী। আবারও ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন জিকো। ৬৫ মিনিট মোহাম্মেদ আল বয়াতির দূর পাল্লার শট জিকো ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন।
৭২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় কাতার। পেনাল্টি থেকে গোল করেন আলমোয়াজ। তার নেওয়া পেনাল্টিও প্রায় ফিরিয়ে দিয়েছিল জিকো। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়লেও শটের গতির কাছে পরাজিত হন। ৭৮ মিনিটে চতুর্থ সাফল্যের দেখা পায়। আব্দুল আজিজের বাড়ানো বল বুক দিয়ে আটকে টোকা দিয়ে বল জালে পাঠান আলমোয়াজ। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ডি-বক্সের মধ্য থেকে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন আফিফ। স্কোরলাইন ৫-০ হয়।
এ পরাজয়ে পাঁচ ম্যাচে এক ড্রয়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তলানিতে রয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে কাতার।
বাংলাদেশ সময়: ০০১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২০
আরএআর/ওএইচ/