যুদ্ধ, হিংসা, রক্ত- একটা ভয়াবহ অধ্যায় পার করছে ইউক্রেন। এবং এর রেশ এখনও চলছে।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বুক চিতয়ে লড়লো ইউক্রেন। তবে ৩৪ মিনিটে দলের অধিনায়ক ইয়ারমোলেঙ্কোর আত্মঘাতি গোলে কপাল পুড়লো যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটির। অন্যদিকে ১৯৫৮ সালের পর প্রথম বিশ্বকাপে স্থান করে নিয়েছে ওয়েলস। কাতার বিশ্বকাপে বি গ্রুপে লড়বে তারা। বিশ্বকাপের মঞ্চে ওয়েলসের সঙ্গে দেখা হবে ইংল্যান্ডের।
কার্ডিফ সিটি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধটা ইউক্রেনই দাপটের সঙ্গে খেলল, সুযোগ পেল বেশি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিজেরা গোল তো পেলই না, উল্টো ৩৪ মিনিটে গোল খেয়ে বসল। বাঁ পাশে বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে নেওয়া গ্যারেথ বেলের ফ্রি-কিক বিপদমুক্ত করতে হেড করেছিলেন ইউক্রেন অধিনায়ক আন্দ্রে ইয়ারমোলেঙ্কো। বল তাঁর মাথায় লেগে চলে যায় নিজেদের জালে।
সেই গোলটা শোধ করার সুযোগ মিনিট পাঁচেক পরেই পেতে পারত ইউক্রেন। কিন্তু ইয়ারমোলেঙ্কোকে বক্সের ভেতর ফাউল করেও বেঁচে যান জো অ্যালেন। ভিএআরে বাতিল হয়ে যায় ইউক্রেনের পেনাল্টির আবেদন। যদিও রেফারির সিদ্ধান্তটা বিতর্কিত মনে হয়েছে রিপ্লে দেখে।
বিরতির পর মাঠে নামার মিনিট চারেকের মধ্যেই প্রতি আক্রমণ থেকে পাওয়া একটা দারুণ সুযোগ নষ্ট করেছেন ওয়েলসের অ্যারন রামসে। ইউক্রেন অবশ্য হাল ছাড়েনি। একের পর এক আক্রমণ করে গেছে, ওয়েলস মূলত অপেক্ষায় থেকেছে প্রতি আক্রমণের। রক্ষণভাগে বেশ সময় কেটেছে ওয়েলসের লেফট ব্যাক বেন ডেভিস ও গোলরক্ষক ওয়েইন হেন্নেসির। এর মধ্যেই ৭৫ মিনিটে ইউক্রেনকে প্রায় নিশ্চিত গোল থেকে বাঁচান গোলরক্ষক জর্জ বুশান, গ্যারেথ বেলের দুর্দান্ত গতির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি।
পরের মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন ইয়ারমোলেঙ্কোও। কিন্তু আরও একবার ওয়েলসের ত্রাণকর্তা হয়ে দেখা দেন বেন ডেভিস। ৮৪ মিনিটে ভিতালি মিকোলেঙ্কোর ক্রসে হেড করেছিলেন বদলি নামা আর্তেম দোবিক। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে সেই হেড ঠেকিয়ে দেন ওয়েইন হেন্নেসি। গোলের দেখা তাই আর পাওয়াই হলো না ইউক্রেনের। অধরা থেকে গেল ২০০৬ সালের পর আরও একটা বিশ্বকাপের স্বপ্ন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৬ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২২
এআর