‘জেদ’ নয়, ভাবনার চলচ্চিত্র অভিষেকের কথা ছিলো অন্য একটা গল্প দিয়ে। অনিমেষ আইচের সঙ্গেই।
একদিন ভাবনার কাছে অনিমেষ আইচ জানতে চাইলেন মতি নন্দীর লেখা পড়া আছে? পড়া তো দূরের কথা, এর আগে তিনি মতি নন্দীর নামও শুনেছেন কি-না সন্দেহ! অনিমেষের কাছ থেকে ভাবনা গল্পটি নিলেন। তারপরের ঘটনা শোনা যাক তার মুখেই, ‘একবার দু’বার না। গল্পটি অনেকবার পড়লাম আমি। নয়নতারা নামের একটি মেয়ের কাহিনী। আমি রীতিমতো নয়নতারার প্রেমেই পড়ে গেলাম। মনে হলো, বহুদিন ধরে চলচ্চিত্রের জন্য যে গল্পটি আমি খুঁজছিলাম, সেটা পেয়ে গেছি। ’
‘জেদ’ নিয়ে ভাবনার এতো শত উচ্ছ্বাসের আরও একটা কারণ আছে। কারণটা পরমব্রত। কলকাতার এ অভিনেতাকে ভাবনার খুবই পছন্দ। নিয়মিত পরমব্রতের ছবি দেখেন তিনি। ইন্টারনেট ঘেঁটে ঘেঁটে তার জীবনীও পড়ে ফেলেছেন। কণ্ঠে উচ্ছ্বাস নিয়েই ভাবনা বললেন, ‘তার সঙ্গে অভিনয় করবো, এটি আমার কাছে রীতিমতো ভাগ্যের ব্যাপার। ’ ওপার বাংলার কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও থাকছেন এতে। ভাবনা তাই ভয় পাচ্ছেন। এতো বিখ্যাত মানুষদের কাছাকাছি এক ফ্রেমে দাঁড়িয়ে ঠিকঠাক অভিনয়টা পারবেন তো তিনি?
দরকার তাই প্রস্তুতি। ব্যাপারটা যে চলচ্চিত্র, শুধু সে কারণে নয়। ভালো কোনো চরিত্র আসলে ষোলআনা প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন তিনি। মাহমুদ দিদারের ‘মৃত্যু ও কম্পাস’ নাটকের কথাই বলা যাক। ওই নাটকের আগে পাঁচ দিন তিনি ভাত খাননি, ঘুমিয়েছেন মেঝেতে। কারণ নাটকটির নিশিমন চরিত্র ছিলো এমনই।
গত ঈদে প্রচারিত ‘রেড কার্পেট’-এর আগে ১৫ দিন সব কাজ বন্ধ করে মূকাভিনয় শিখেছেন। ‘জেদ’ নিয়ে তো আরও বেশি প্রস্তুতি থাকার কথা ভাবনার। তিনি জানালেন, এ মাসের মাঝামাঝি পরমব্রতের সঙ্গে মহড়া করতে কলকাতায় যাবেন তিনি। পরমব্রত অন্যান্য ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত। অক্টোবরের আগে কোনোভাবেই ঢাকায় আসতে পারবেন না। কিন্তু ভাবনা তো ‘জেদ’ ছাড়া ব্যস্ততাকে দিব্যি ছুটি দিয়ে বসে আছেন। তাই নিজেই কলকাতায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভাবনা বলছেন, ‘আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। জানি না কীভাবে অভিনয় করবো। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর জন্য আমার আর তর সইছে না। ’
ভাবনা এখন নয়নতারার ভাবনায় একবার ডুবছেন, একবার ভাসছেন। ডুবে-ভেসে তার রূপালি যাত্রা সফল হয়ে উঠুক এই শুভকামনা রইলো।
বাংলাদেশ সময় : ২১১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৪