‘ইয়াং ক্রেজ’ যাকে বলে, টিভি নাটকে এখন তারা সে জায়গাটাই দখল করে নিয়েছেন। অভিনয়ে, নির্মাণে তরুণদের আগ্রহের ব্যক্তি তারা।
শবনম ফারিয়া
ঢাকাতেই ফারিয়ার পরিবার। ঈদও এখানেই। ঈদের আগে শুটিং নিয়ে টানা ধকল গেছে। তাই ঈদের ছুটির ক’টা দিন শুধুই বিশ্রামের। ঈদের দিনটা মা- বাবার সঙ্গে বাড়িতেই থাকবেন। বললেন, ‘আব্বুর সঙ্গে টিভি দেখবো। ’ তিনি নিজের জন্য শুধু একটা শাড়িই কিনেছেন। পেয়েছেন অনেক। মা ও বড় বোন দিয়েছেন শাড়ি। ছোট বোন, চাচী আর ফুফিরাও দিয়েছেন। উপহার ফারিয়াও দিয়েছেন। ভাগ্নে, বোন, মা সবাইকেই কিনে দিয়েছেন পছন্দমতো।
তৌসিফ মাহবুব
বলছিলেন, ‘মানুষ যা করে তাই-ই করবো। খাবো, ঘুমাবো। ’ মানে আলাদা করে কোনো পরিকল্পনা নেই তৌসিফের। ঈদের আগ পর্যন্ত শুটিং নিয়েই ব্যস্ততা তার। কেনাকাটা তাই রেখে দিয়েছেন চাঁদরাতের জন্য। দিন দু’য়েক আগে যখন তার সঙ্গে কথা হচ্ছিলো, তখন পর্যন্ত একটা পাঞ্জাবি উপহার পেয়েছেন তিনি। উপহার দিয়েছেনও একটা।
ঈশিকা খান
নিজের জন্য কিছুই কেনা হয়নি তার। শেষ মুহূর্তে ইচ্ছে হলে একবার বিপণি বিতানগুলোতে ঢু দেবেন। পছন্দ হলে কিনে নেবেন কিছু একটা। ঈদে নতুন পোশাক থাকতেই হবে- এমন চাওয়া নেই ঈশিকার। তবে ছোট বোনকে পছন্দের পোশাক কিনে দিয়েছেন। ঈদের দিনটা তার খুবই গতানুগতিক। কোথাও ঘুরতেও বেরুবেন না, আত্মীয়-স্বজনের বাসায়ও না; সারাক্ষণ বাড়িতেই। ঢাকাতেই ঈদ করবেন ঈশিকা।
ফারদিন এহসান স্বাধীন
বাবা ওমর সানি ও মা মৌসুমী- কেউই ঈদে দেশে থাকছেন না। কাতারে যাবেন। স্বাধীনের এবারের ঈদটা তাই ‘বোরিং’ হবে। বাবা-মা পাঞ্জাবি উপহার দিয়েছেন। ওটাই পরবেন ঈদে। বলছেন, ‘ঈদের দিনটা কেটে যাবে ছোট বোনকে নিয়ে। ’ বোনের আবদার পূরণের মাধ্যমেই স্বাধীন খুঁজে নেবেন ঈদের আনন্দ।
শাহতাজ
শাহতাজের কেনাকাটা শেষ বেশ আগেই। ঈদের ছুটিতে ঢাকায়ই থাকবেন। ঈদের দিনটা তার একটু অন্যভাবে যায়, ঘুমিয়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই তার কাজ, সবার কাছ থেকে সালামি নেয়া। সালাম না দিলে তো আর সালামি মেলে না! এটা করতে করতেই শাহতাজ হয়ে পড়েন ক্লান্ত! তারপর ঘুম।
বাংলাদেশ সময় : ১৯৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৫
জেএইচ