ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

পূজাদের পূজা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
পূজাদের পূজা (বাঁ থেকে) পূজা সেনগুপ্ত, বাঁধন সরকার পূজা ও পূজা চেরি

নাম এক হলেও, তিনজনই সংস্কৃতিমনা হলেও, পরিচিতির ক্ষেত্র আলাদা। পূজা সেনগুপ্ত নাচের মানুষ।

বাঁধন সরকার পূজা করেন গান। আর পূজা চেরির ক্ষেত্র অভিনয়, মডেলিং। শুরু হয়ে গেছে দুর্গাপূজার উৎসব। তিন পূজা জানালেন তাদের পূজা-প্রস্তুতি।

পূজা সেনগুপ্ত, নৃত্যশিল্পী
এর আগের দু’বছর দুর্গাপূজায় দেশেই থাকতে পারেননি পূজা সেনগুপ্ত। গতবার ছিলেন ব্যাংককে, অনুষ্ঠান ছিলো। তার আগের বছর পূজাটা কেটেছে কলকাতায়। নাচের পরিবেশনা ছিলো, সঙ্গে পড়াশোনার ব্যস্ততাও। সব মিলিয়ে পরিবারকে একেবারেই সময় দেওয়া হয়নি। নিজে যে খোলামনে উপভোগ করতে পেরেছেন, তা-ও নয়। এবার তিনি ঢাকাতেই আছেন, সঙ্গে বাবা-মা-বোন। অষ্টমীর সন্ধ্যায় বনানী পূজামন্ডপে তিনি উঠবেন কোরিওগ্রাফি ‘প্রার্থনা’ নিয়ে। অ্যানিমেশনে মা দুর্গা, তার সঙ্গে পূজার নাচ। বললেন, ‘দুর্গা পূজা তো সার্বজনীন উৎসব। এ দিন আমার কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করবো। ’

নাম তার পূজা, উৎসবও পূজার। এ সময়টায় চারিদিকে, সবমুখে ‘পূজা, পূজা’ রব; কেমন লাগে তার কাছে? পূজা সেনগুপ্ত বললেন, ‘খুবই ভালো লাগে। এজন্য প্রথমে ধন্যবাদ জানাবো আমার বাবা-মাকে, এমন একটি নাম রাখার জন্য। পূজা নামের মধ্যে যে গরিমা আছে, শ্রদ্ধাবোধ আছে; সেটি অক্ষুণ্ন রাখার চেষ্টা করি সবসময়। ’

বাঁধন সরকার পূজা, কণ্ঠশিল্পী
টিভি লাইভ, ইন্টারভিউ ছাড়াও পূজা মন্ডপেই গানের অনুষ্ঠান আছে পূজার। নবমীতে গাইবেন কলাবাগান মাঠে। সংগীতশিল্পী পূজার পূজাকেন্দ্রিক গানের ব্যস্ততা এটুকুই। আর কোনো অনুষ্ঠান রাখেননি হাতে। রেখেছেন অফুরন্ত ঘোরাঘুরি, ঠাকুর দেখা আর প্রার্থনার সময়। হবু স্বামীকে সঙ্গে নিয়েই ঠাকুর দেখে বেড়াচ্ছেন পূজা। কেনাকাটাও সেরে ফেলেছেন এরই মধ্যে।

পূজা উৎসবের সঙ্গে নামের মিল নিয়ে একই প্রশ্ন করা হয় এ পূজাকেও। কাছাকাছি উত্তর দেন তিনি- ‘খুবই ভালো লাগে। ’ যোগ করেন, ‘দ্বিধাও হয়। কেউ হয়তো প্রার্থনা-অর্থে পূজার কথা বলছে, মনে হয় হয়তো আমাকে ডাকছে!’ একে বলে মিষ্টি কনফিউশন!

পূজা চেরি, অভিনয়শিল্পী
অল্প স্বল্প নয়, কেনাকাটা হয়েছে বেশ- থ্রীপিস, শার্ট, প্যান্ট কতো কী! এখনও স্কুল-বয়স। পূজার হাওয়ার তোড় তাই বেশি করেই গায়ে লাগে। লেগেছেও। অষ্টমীতে মায়ের সঙ্গে ঢাকেশ্বরী, তাঁতিবাজারের দিকে ছুটেছেন ঠাকুর দেখতে। পরিকল্পনা আঁটছেন, খোঁজ-খবর নিচ্ছেন আর কোথায় কোথায় যাওয়া যায়! বাকি ক’টা দিন পড়াশোনা একেবারেই তো পিছু ছাড়বে না, তবু যতোখানি না হলে একেবারে চলেই না; ততোটুকু সেরে সাজ-গোজের পালা। বেরিয়ে পড়ার পালা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ