ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

পুরানো সেই দিনের কথা

শৈশবে যেমন ছিলেন রুনা লায়লা

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
শৈশবে যেমন ছিলেন রুনা লায়লা রুনা লায়লা তখন ও এখন

ছবি হলো স্মৃতির সঙ্গে যোগাযোগের সেতু। সেই সঙ্গে ফেলে আসা দিনকে ধরে রাখার বড় আশ্রয়।

তারকাদের স্মৃতিময় ফটো অ্যালবাম থেকে নির্বাচিত ছবি নিয়ে তারার ফুল বিভাগের নিয়মিত আয়োজন ‘পুরানো সেই দিনের কথা’। আজ রয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার শৈশবের কয়েকটি ছবি।

রুনা লায়লার গানের রূপ, রস, গন্ধ সববয়সী শ্রোতাকে আকৃষ্ট করে। তার গান শুধু শোনার নয়, দেখারও বিষয়। গানের তালে নৃত্য, হাতের ভঙ্গিমা ও ফ্যাশনে তিনি তৈরি করেছেন স্বতন্ত্র ঢঙ, হয়ে উঠেছেন অনন্য শিল্পী। ছোটবেলায় কত্থক, ভরতনাট্যম ও কথাকলি নাচ শিখেছেন চার বছর। ফলে গান পরিবেশনের সময় তার মধ্যে সেটা আপনাআপনি প্রকাশ পায়।

রুনার কণ্ঠের কারুকাজ শ্রোতাকে নিয়ে যায় সুদূরে! সেখানে হারিয়ে যেতে কার না ইচ্ছে করে! গজল, পপ, আধুনিক গান, চলচ্চিত্রের গানে পাঁচ দশক ধরে অনবদ্য তিনি। আগামীকাল ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই কণ্ঠশিল্পীর জন্মদিন। চলুন ফিরে যাই রুনার শৈশবে।

১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে রুনা লায়লার জন্ম। তার শৈশব কেটেছে পাকিস্তানের করাচিতে। ১৯৫৫ সালের মার্চে রুনার যখন আড়াই বছর বয়স, তখন তার বাবা রাজশাহীর সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী বদলি হয়ে গেলেন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে। বাবার চাকরি সূত্রে তাকে সেখানে অনেকটা সময় পর্যন্ত থাকতে হয়েছে। তবে মাঝে-মধ্যে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় আসতেন।

বাবা সংগীতানুরাগী ছিলেন, তাই বড় মেয়ে দীনা লায়লাকে সংগীত চর্চায় উদ্বুদ্ধ করেন। ছোট্ট রুনা তখন বোনের পাশে বসে থাকতেন। সংগীতের সুধা ছিল তার মাঝেও। দীনাকে গান শেখাতেন ওস্তাদ আর বড় বোনের পাশে নিশ্চুপ বসে থাকা রুনা খেয়াল করতেন। কৌতূহল আর আগ্রহ তার চোখে-মুখে। ওস্তাদের আগ্রহে বাবা ছোট মেয়েকেও গান শেখাতে দেন। একটি অনুষ্ঠানে দীনা অসুস্থ থাকার কারণে আয়োজকরা রুনাকে মঞ্চে বসিয়ে দেন। সেখানে তানপুরা নিয়ে ‘খেয়াল’ পরিবেশন করে নজর কাড়েন তিনি। মাত্র ১২ বছর বয়সে উর্দু ছবি ‘জগনু’তে প্রথম প্লেব্যাক করেন রুনা। এরপর চলছে তো চলছেই!

অজস্র গান ও অজস্র রেকর্ডের মাঝেও রুনা লায়লা তার শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখেন। ১৯৬৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পেলেন প্রথম বিভাগ, ১৯৭০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন দ্বিতীয় বিভাগে। পরিবার রুনাকে কখনও তারকা হিসেবে দেখেনি। মা-বাবার কাছে তিনি বরাবরই সাধারণ মেয়ে ছিলেন। বিরাট তারকা কিংবা বিরাট গায়িকা, এ বিষয়টা তাকে কখনও ভাবতে দেওয়া হয়নি পরিবার থেকে। এজন্যই তিনি আজ মহাতারকা!

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ