পঞ্চাশে পা দিলেন মিশা সওদাগর। একই সঙ্গে তার অভিনয়জীবনও পড়লো ত্রিশের কোঠায়।
এতো কাজ মিশা করেন কীভাবে, এতো প্রাণশক্তি কোথা থেকে আসে তার- এ প্রশ্ন কাছের মানুষদেরও। বেশিরভাগ তারকার কাছে তিনি উৎসাহের-অনুপ্রেরণার কেন্দ্রবিন্দু। সোমবার (৪ জানুয়ারি) তার ৫০তম জন্মদিনে বাংলানিউজের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা তাকে।
মিশার কিছু জানা-অজানা
* জন্ম পুরান ঢাকায়। বাবা ওসমান গনি ও মা বিলকিস রাশিদার তিন পুত্র ও দুই কন্যার মধ্যে মিশার অবস্থান চতুর্থ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই পুত্রের বাবা।
* এখন যিনি মিশার সহধর্মিনী জুবায়েদা রব্বানী মিতা, বিয়ের আগে তার সঙ্গে ১১ বছর প্রেম করেছেন তিনি। মিতা সম্পর্কে মিশার দুঃসম্পর্কের আত্মীয়। মিতা ছিলেন পড়াশোনায় অনেক ভালো। মিশা ততোটা ছিলেন না। মিতার পড়াশোনায় মনোযোগ দেখেই তাকে ভালো লাগে মিশার।
* ১৯৮৬ সালে স্নাতক সম্পন্ন করার পর এফডিসির নতুন মুখ খোঁজার প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছিলেন মিশা। অভিনয়ের অভিজ্ঞতা তখন একেবারেই ছিলো না তার। তবে নাচতে পারতেন। খেলাধুলা করতেন, ফলে শারীরিক গড়ন ছিলো ছিপছিপে। নায়ক হিসেবেই নতুন মুখে নির্বাচিত হন মিশা। নায়ক হয়ে তার প্রথম ছবি ‘চেতনা’। অমিত হাসান, শাহীন আলম ও ইমরানের সঙ্গে নায়ক ছিলেন ‘অমরসঙ্গী’তেও। হুমায়ুন ফরীদিকে দেখে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী হন মিশা। এ কারণে ফরীদিকে তিনি বলেন ‘আত্মীক ওস্তাদ’। ‘আশা ভালোবাসা’ ভিলেন মিশার প্রথম ছবি।
* শুটিং করতে গিয়ে দু’বার ভয়াবহ ঘটনার শিকার হয়েছিলেন মিশা। ছবির নাম ‘প্রতিজ্ঞা’। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন মৌসুমী। দৃশ্য এমন- ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে মিশাকে। এ দৃশ্যধারণ করতে গিয়ে মরতে বসেছিলেন তিনি। ফাঁসির দড়িতে শ্বাস আটকে গিয়েছিলো। অচেতন অবস্থায় ছিলেন বেশ কিছুক্ষণ। তারপর দড়ি কেটে নিচে নামানোর পর জ্ঞান ফেরে মিশার। দ্বিতীয় ঘটনা রিয়াজের সঙ্গে ফাইট দৃশ্য করতে গিয়ে। মনতাজুর রহমান আকবরের ছবি। রিয়াজের মাথার ওপর দিয়ে, প্রায় সাত ফুট উঁচুতে লাফিয়ে নামার সময় ডান পায়ের হাঁটুর কাছে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় তার।
* প্রতি বছরের পহেলা বৈশাখে মিশার বাসায় পার্টি হয়। সেখানে উপস্থিত থাকেন পরিবার থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রাঙ্গনের অনেকেই।
* সবচেয়ে পছন্দের খাবার শাহী মোরগ পোলাও।
* নচিকেতার গান খুব পছন্দ করেন মিশা সওদাগর। পছন্দ করেন কবির সুমন, লোপামুদ্রা মিত্রকেও।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
কেবিএন/জেএইচ