ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

সবেধন নীলমনি ‘জীবন থেকে নেয়া’!

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
সবেধন নীলমনি ‘জীবন থেকে নেয়া’!

ছোট পরিসরে হলেও নিয়মিত তৈরি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। স্বাধীনতার ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণে বাধ্যবাধকতা আছে সরকারি অনুদান দেওয়ার বেলায়ও।

কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের অনস্বীকার্য ভূমিকা থাকলেও সেলুলয়েডে এই অধ্যায়টি বলার মতো করে উঠে আসেনি।

ছয় দশকেও ভাষা আন্দোলন নিয়ে পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র হয়নি। এই বিচারে সবেধন নীলমনি জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’। ৪৬ বছর আগে ১৯৭০ সালে নির্মিত ধ্রুপদী এ ছবিই এখন পর্যন্ত চলচ্চিত্রে ভাষা আন্দোলনের অন্যতম স্মারক। ছবিটির অনেক শিল্পী ও কলাকুশলী এখন আর বেঁচে নেই। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আগে ঘুরে-ফিরে আসে এই ছবির প্রসঙ্গ।  

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ উপলক্ষে চলুন জেনে নেওয়া যাক ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছবির কিছু উল্লেখযোগ্য দিক।  

* একুশে ফেব্রুয়ারিতে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রভাতফেরির একটি দৃশ্য এই চলচ্চিত্রকে বিখ্যাত করেছে। এমন দৃশ্যায়ন দেশীয় চলচ্চিত্রে বিরল।

* ছবিটির প্রথম ও শেষ দৃশ্যের প্লট জহির রায়হানের মাথায় ছিলো। সংলাপ রচয়িতা আমজাদ হোসেনকে তিনি একদিন পেয়েছিলেন পরিচালক সমিতিতে। তাকে তিনি বলেছিলেন, ‘গল্পের শুরুতে দেখা যাবে একটি মেয়ে আরেকটি মেয়েকে নিজ হাতে গ্লাসে করে দুধ খাইয়ে দিচ্ছে। আর গল্পের শেষে এরাই একজন আরেকজনকে বিষ খাইয়ে দেবে। গল্পে একটা যুদ্ধ থাকবে চাবি নিয়ে। বাড়ির কর্তা হবে নারী আর তার স্বামী থাকবে ঘরজামাই ধরনের। ব্যস, এটুকু প্লট নিয়ে সংলাপ লেখা ও চিত্রনাট্য তৈরি করেছিলেন আমজাদ হোসেন।
 
* ছবিটিতে বাড়ির কর্তা পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্বকারী। সারাদেশের মানুষ এখন যেভাবে প্রভাতফেরি করে এই ছবিতে সেই আমেজটা তৈরি করা হয়েছিলো সচেতনভাবে।

* জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার আগেই ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি দারুণভাবে ব্যবহার করা হয়েছিলো ছবিটিতে। দেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মনের আবেগ থেকে গান গায় আনোয়ার হোসেন। একই জায়গাতে আবার প্রেম করছেন রাজ্জাক-সুচন্দা। তারাও আবার ‘আমার সোনার বাংলা গান’ গাইছেন। এতে আরেকটি গান আছে- কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’।

* খান আতাউর রহমান ছাদের ওপরে গিয়েও গাইতে পারেন না ‘এ খাঁচা ভাঙবো আমি কেমন করে’। এ গানের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে নিজের দেশে বাঙালি কতোটা অবরুদ্ধ ছিলো। আরেকটি দৃশ্যে পোস্টার লাগানোর পর নিজেদের হাতেই তুলে ফেলাও সেই পরাধীনতারই একটি চিত্র বহন করে।

* ছবিটির ব্যতিক্রমী পোস্টার দর্শকদের ‍দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলো। পোস্টারে শোভা পেয়েছিলো- ‘একটি দেশ/ একটি সংসার/ একটি চাবির গোছা/একটি আন্দোলন’।

* ‘আমার সোনার বাংলা’ :


* ‘এ খাঁচা ভাঙবো আমি কেমন করে’ :


* ‘কারার ওই লৌহ কপাট’:


বাংলাদেশ সময় : ১৭০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
এসও/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ