ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

যে ছবি শেখায় ভয়কে করুন জয়

বৃষ্টি শেখ, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
যে ছবি শেখায় ভয়কে করুন জয়

আমির খান : নির্জাকে ভালো লাগলো। খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক ও মনমাতানো ছবি।

সোনম (কাপুর) অস‍াধারণ। জীবনের সেরা পারফর্ম্যান্স দেখিয়েছেন শাবানাজি (শাবানা আজমি)। ভালো করেছো রাম (পরিচালক রাম মাধবানি)। অবশ্যই দেখবেন।
 
হৃতিক রোশন : অসাধারণ! এ ছবির জন্য আমারও গর্ব হচ্ছে। এতে সোনমের কাজ অবিশ্বাস্য! কলাকুশলীরা এমন একটা কাজ কীভাবে করলো জানতে ইচ্ছে করছে। এটা বহু বছর টিকে থাকবে। শেষ কবে এভাবে কেঁদেছি মনে নেই। এটি আবেগময় একটা ছবি। মানুষকে ছবিটা সহজেই স্পর্শ করবে। রাম দারুণ কাজ করেছে। শাবানাকে স্যালুট দেওয়া দরকার। ’
 
করণ জোহর : এখন পর্যন্ত সোনমের সেরা অভিনয়। ও অসাধারণ। শাবানা আজমি কিংবদন্তি অভিনেত্রী, তার মতো আর কেউ নেই। এটি ক্ষমতায়নের গল্প। প্রত্যেক মা ও মেয়ের এই ছবি দেখা উচিত। এই চমৎকার ছবিটি সবাইকে কাঁদাবে। এটি সাহসী মেয়ের সাহসী গল্প। অনেকের জীবন নিয়ে নির্মিত ছবি দেখেছি। কিন্তু খুব কমই মন ছুঁয়ে যায়। নির্জা তেমনই একটি গল্প।

শচীন টেন্ডুলকার : এটি সত্যিই অসাধারণ একটি ছবি। নির্জা কি সাহসীই না ছিলো! ও সত্যিকারের হিরো। এমন একটি ছবি বানানোর কথা ভাবার জন্য অতুল কাসবেকার (প্রযোজক) ও তার দলকে নিয়ে খুশি। বিশেষ একজনকে নিয়ে এটা বিশেষ একটি ছবি। সবারই ছবিটি দেখা উচিত।
 
যুবরাজ সিং : এটা খুব দারুণ ভালো একটি ছবি। নির্জা সত্যিকারের ভারতীয় হিরো। এতে সোনম কাপুর ও শাবানা আজমির অসাধারণ অভিনয় আছে। এই ছবি মনে করিয়ে দেয়, নির্জার মতো হিরোরা সবসময় বেঁচে থাকে। আমি আবেগাপ্লুত।
 
বলিউড ও ক্রিকেট দুনিয়ার তারকাদের এমন প্রশংসাবাক্যে ভরে গেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটার। সোনম কাপুর ও তার নতুন ছবি ‘নির্জা’য় মুগ্ধ সবাই। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনী দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার, নির্মাতা সুভাষ ঘাই, মিলাপ জাভেরি, অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি, টুইংকেল খান্না, দিব্যা দত্ত, অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা, অমিত সাধ, গায়ক মিকা সিং এবং আরও অনেকে। তাদের মন্তব্য, এ ছবি যেন নির্জাকে তার জীবনে ফিরিয়ে এনেছে!
 
সবার মুখে কন্যার প্রশংসা শুনে দারুণ উচ্ছ্বসিত বলিউড অভিনেতা অনিল কাপুর। তার মতে, কিছু ছবি অনুপ্রাণিত করে। ‘নির্জা’ তেমনই একটি ছবি। চিত্রনাট্যটি আমার ভালো লেগেছে, ছবিটাও অসাধারণ। সবাই সোনমের প্রশংসা করায় আমি খুশি। কিন্তু দর্শকদের প্রতিক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ। ’
ছবিটি মুক্তি পাবে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ২১ কোটি রুপি। নির্জা ভানোতের জীবনের সত্যি ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে এটি। ১৯৮৬ স‍ালে পাকিস্তানের করাচিতে ছিনতাই হওয়া প্যান অ্যাম ফ্লাইট-৭৩ উড়োজাহাজে জঙ্গি হামলার সময় সাহসিকতার পরিচয় দেন ২৩ বছর বয়সী এই বিমানবালা। সব যাত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জঙ্গিদের বুলেটে ঝরে যায় তার তাজা প্রাণ।
 
ছবিটির প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সোনম। এমনই একটি প্রচারণা অনুষ্ঠানে উড়োজাহাজে নির্জার শেষ ঘোষণার অডিও প্রকাশিত হয়েছে ইউটিউবে। এটি ছিলো তার শেষ ফ্লাইটের বক্তব্য। শুধু বিমানবালা নন, মডেলও ছিলেন তিনি। একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিংও করেছিলেন।
 
* নির্জা ভানোতের শেষ কথা :


ভয়কে জয়
‘নির্জা’ ছবিতে সোনম অভিনয় করেছেন বিমানবালা নির্জা ভানোত চরিত্রে। ১৯৮৬ স‍ালে পাকিস্তানের করাচিতে ছিনতাই হওয়া প্যান অ্যাম ফ্লাইট-৭৩ উড়োজাহাজে জঙ্গি হামলার সময় সাহসিকতার পরিচয় দেন ২৩ বছর বয়সী এই তরুণী। সব যাত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জঙ্গিদের বুলেটে ঝরে যায় তার তাজা প্রাণ। এজন্য তাকে দেওয়া হয় মরণোত্তর অশোক চক্র পুরস্কার।
 
ভয় থেকে নির্জা সাহস পেয়েছিলো বলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে নামেন সোনম। তার ডাকে সাড়া দিয়েছেন বলিউড তারকারাও। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ভোগেন নোমোফোবিয়ায়। অর্থাৎ নো মোবাইল ফোন ফোবিয়া। ফোনের সিগনাল হারানো, ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যাওয়া এবং মোবাইল ফোনটাই হারিয়ে যাওয়ার ভয় কাজ করে তার মধ্যে।
 
আরেক অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তের ভয় অন্ধকারে। রাতের আঁধার ও ভুতুড়ে জায়গাকে সবচেয়ে ভয় পান ৩০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী। আনুশকা শর্মার কাছে ভয়টাই বড় ভয়। ২৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর মতে, ভয় মানুষকে পথভ্রষ্ট করে দিতে পারে। আলিয়া ভাটের মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার ভয় কাজ করে। পরিণীতি চোপড়া ভয় পান উড়োজাহাজ অবতরণ করলে। ২৮ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর তখন মনে হয় এই বুঝি বিধ্বস্ত হয়ে মারা যাবেন!
 
লিসা রে’র বড় ভয় হলো আশা হারিয়ে ফেলা। সুনীল শেঠির মেয়ে আথিয়া শেঠি ভয় হলো ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে ফেলা। এ কারণে প্রিয় মানুষদেরকে তিনি বোঝাতে চেষ্টা করেন তারা তার কাছে কতোটা স্পেশাল। হুমা কুরেশির ভয় হলো স্বপ্নে দাঁত দেখা! এশা গুপ্তার ভয় স্কাই ডাইভিংয়ে।  

সালমান খান এখনও বিয়ে করেননি। এটাই তার একমাত্র ভয়। ৫০ বছর বয়সী এই অভিনেতাকে ছোটবেলায় বাবা সেলিম খান বলেছিলেন- ‘জো ডর গ্যায়া সামঝো মর গ্যায়া। সল্লুর ছোট ভাই অভিনেতা-পরিচালক আরবাজ খানের বড় ভয় উচ্চতায়। করণ জোহরের ডান পাশে এসে কেউ ছবি তুললে তিনি ভীত হন! অর্জুন কাপুরের সবচেয়ে বড় ভয় হলো খুব জলদি হার মেনে যাওয়া। তবে তিনি হার মানতে চান না। হারজিৎ থাকবেই। তবে হার মানবেন বা পারবেন না এমন চিন্তা করেন না প্রযোজক বনি কাপুরের এই ছেলে।
 
এমরান হাশমি ভয় পান মাকড়সাকে। এটাকে বলে আর্কনোফোবিয়া। আয়ুষ্মান খুরানার ভয় ভারতীয় ছবি নিয়ে খুব বেশি সমালোচনা না করে বসেন কিংবা নৈরাশ্যবাদী হয়ে ওঠেন! শহিদ কাপুর ভয় পান না কিছুতেই। তবে স্ত্রী মীরা রাজপুত সামনে এলে আলাদা কথা!
 
* বলিউড তারকাদের ভয়ের অভিজ্ঞতার ভিডিও :

 
যার আহ্বানে ভয়ের অভিজ্ঞতা জানালেন ভক্ত ও দর্শকরা, সেই সোনম কীসে ভয় পান? ‘নির্জা’য় চুক্তি করার আগে ৩০ বছর বয়সী এই তারকার সবচেয়ে বড় ভয় ছিলো ‘লোকে কী বলবে’ তা নিয়ে। তিনি বলেছেন, “আমি খুব লাজুক ছিলাম। সবার সামনে কথা বলতে গেলে জড়োসড় হয়ে যেতাম। আমার মঞ্চভীতি আছে। আট বছর আগে মঞ্চে নেচেছিলাম। এরপর আর সাহস হয়নি। সেজন্যই ‘নির্জা’য় কাজ করেছি সাহস সঞ্চারের জন্য। ”
 
বাংলাদেশ সময়: ০২২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
বিএসকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ