এসএ গেমস যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৮৪ সালে নেপালের কাঠমান্ডু থেকেই। যদিও ওই সময় গেমসের কাগুজে নাম ছিল সাফ (দক্ষিণ এশিয়ান ফেডারেশন) গেমস।
রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ১০ দিনব্যাপী গেমসের উদ্বোধন করবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া পাঁচটায় আসরের উদ্বোধন হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার ক্রীড়াবিদদের শ্রেষ্ঠত্বের সবচেয়ে বড় মঞ্চ এই গেমস। ১০ দিনের এই গেমসে ২৬টি ডিসিপ্লিনে ৩১৭টি সোনার লড়াইয়ে অংশ নেবেন ক্রীড়াবিদরা।
২৬টি ডিসিপ্লিনে এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে গলফ ও কারাতে। সবচেয়ে বেশি ২০টি ইভেন্ট সাঁতারে, আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯টি ইভেন্ট অ্যাথলেটিকসে। ২৬টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে ১৭টি হবে কাঠমান্ডুতে। পোখারায় হবে ৮টি ডিসিপ্লিন আর জানকপুর হবে কুস্তি।
৮ বছর পর এসএ গেমসে ফিরেছে ক্রিকেট। প্রথমবার ছেলেদের পাশাপাশি বাংলাদেশের মেয়েরাও ক্রিকেটে অংশ নেবে। এসএ গেমসে এবার বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন ৫৯৫ জন অ্যাথলেট। এর বাইরে নেপালের ৬৪৮ জন, ভারতের ৪৬১ জন, পাকিস্তানের ৪১৩ জন, মালদ্বীপের ৩৩২ জন, ভুটানের ১৪২ জন ও শ্রীলঙ্কার ৬২২ জন অ্যাথলেট অংশ নেবে গেমসে।
২৬ ডিসিপ্লিনের মধ্যে বাংলাদেশ অংশ নেবে ২৫ টিতে। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব থাকছে না ট্রায়াথলনে। এবারের আসরে বাংলাদেশের পতাকা বহনের দায়িত্ব পেয়েছেন গত এসএ গেমসে জোড়া সোনাজয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন।
ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ও শ্যুটার শাকিল আহমেদের দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। আর্চারিতে আশা দেখাচ্ছেন রোমান সানা। সাঁতারে আরিফুল ইসলাম, মাহফিজুর রহমান, জোনায়না আহমেদরা ভালো কিছুর প্রত্যাশায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
এমআরপি