এর আগে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) মাবিয়া আক্তার সীমান্তের পর বাংলাদেশ আরও একটি স্বর্ণ পদক জেতে। বাংলাদেশকে ষষ্ঠ স্বর্ণ পদক পাইয়ে দেন জিয়ারুল ইসলাম।
গতবারের মতো এবারও বাংলাদেশকে সোনার পদক পাইয়ে দিয়েছেন সীমান্ত। ৭৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণ জিতেছেন তিনি। ৮১ কেজিতে রৌপ্য জিতেছেন বাংলাদেশের জোহরা খাতুন নিশা।
বাংলাদেশকে প্রথম পদক এনে দিয়েছিলেন হুমায়রা আক্তার অন্তরা। তবে সেটি ছিল ব্রোঞ্জ। তায়কোয়ান্দোতে এবার বাংলাদেশ প্রথম সোনার পদক জেতে। দিপু চাকমা পাইয়ে দেন প্রথম স্বর্ণ। তায়কোয়ান্দোতে ছেলেদের এককে পুমসায় ২৯ অথবা এর বেশি ওজনে ভারতের প্রতিযোগীকে হারিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সোনা জেতান রাঙামাটির ছেলে দিপু।
এরপর কারাতে কুমিতে সোনা জেতেন আল আমিন। সেটি ছিল বাংলাদেশের দ্বিতীয় সোনার পদক। কারাতে ইভেন্টের ৬০ কেজি ওজন শ্রেণি কুমিতে সোনা পাইয়ে দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আল আমিন। দেশের তৃতীয় স্বর্ণ জেতেন বাংলাদেশের আরেক খেলোয়াড় মারজানা আক্তার প্রিয়া। এসএ গেমসে দেশের পক্ষে তৃতীয় সোনার পদক আসে মেয়েদের কারাতে ইভেন্টে। মেয়েদের অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজি কুমি ইভেন্টে সোনা জেতেন মারজানা।
বাংলাদেশকে ১৩তম আসরে প্রথম পদক পাইয়ে দেওয়া হুমায়রা আক্তার অন্তরা বাংলাদেশ চতুর্থ সোনার পদক পাইয়ে দেন। কারাতে ৬১ কেজি কুমিতে স্বর্ণ জেতেন অন্তরা। নেপালের অনু গুরুংকে ৫-২ পয়েন্টে হারান তিনি। এরপর চারদিন বিরতি দিয়ে আজ আবারও সোনার মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। দেশকে পঞ্চম স্বর্ণ পাইয়ে দিয়েছেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। পরে ষষ্ঠ স্বর্ণ আসে জিয়ারুল ইসলামের হাত ধরে। এবার ফাতেমা জেতালেন সপ্তম স্বর্ণ পদক।
স্বর্ণ জয়ের হিসেবে গতকাল পর্যন্ত পদক তালিকার শীর্ষে আছে ভারত। ১৭৭টি পদক জিতেছে ভারত। এর মধ্যে আছে ৮৯টি স্বর্ণ, ৬১টি রৌপ্য আর ২৭টি ব্রোঞ্জ পদক। ৪১টি স্বর্ণ, ২৭টি রৌপ্য আর ৫১টি ব্রোঞ্জ সহ মোট ১১৯টি পদক জিতে গতকাল পর্যন্ত দুইয়ে স্বাগতিক নেপাল। তিন নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কার অ্যাথলেটরা জিতেছেন ২৪টি স্বর্ণ, চারে থাকা পাকিস্তান জিতেছে ২০টি স্বর্ণ। আজ মাবিয়ার হাত ধরে বাংলাদেশ পেয়েছে পঞ্চম স্বর্ণ আর জিয়ারুলের হাত ধরে পেয়েছে ষষ্ঠ সোনার পদক। সপ্তম স্বর্ণ আসে ফাতেমার হাত ধরে। এছাড়া, ২০টি রৌপ্য আর ৫২টি ব্রোঞ্জ নিয়ে বাংলাদেশের পদকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৯টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
এমআরপি