২০১৮ সাল থেকে তিনটি ডোপ টেস্টে অনুপস্থিত ছিলেন কোলম্যান। সেবারই তিনি দোহায় ৯.৭৬ সেকেন্ডে দৌড়ে প্রথম হন।
নিয়ম ভঙ্গের কারণে ২৪ বছর বয়সী কোলম্যানকে এরইমধ্যে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে অ্যাথলেটিক ইন্টেগ্রিটি ইউনিট (এআইইউ)। তবে ক্যারিয়ারে কখনো নিষিদ্ধ মাদক গ্রহণের কথা অস্বীকার করেছেন কোলম্যান। তার দাবি, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার মতো যথেষ্ট সুযোগও দেওয়া হয়নি তাকে। শুধু তাই না, তার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
অ্যান্টি ডোপিং অ্যাজেন্সিগুলোর নীতিমালা অনুযায়ী, অ্যাথলেটরা কখন কোথায় থাকবেন তা কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। শুধু তাই নয়, কোথায় অনুশীলন করবেন কিংবা রাতে অবস্থান করবেন সেটাও জানাতে হবে। এক বছরের ব্যবধানে কেউ যদি তিনবার এই খোঁজ দিতে ব্যর্থ হন তাহলে অ্যান্টি ডোপিং কোড অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
নিয়ম ভঙ্গ করে কোলম্যান ঠিক ৩ বার নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ২০১৮ সালের ৬ই জুন এবং ২০১৯ সালের ১৬ই জানুয়ারি ও ২৬শে এপ্রিল। এই তিনবারের মধ্যে ২ বার টেস্ট করে যুক্তরাষ্ট্র অ্যান্টি ডোপিং অ্যাজেন্সি, বাকি দুবার করে অ্যাথলেটিকদের ইনটেগ্রিটি ইউনিট।
গতবছর অবশ্য হিসাবের ফাঁকফোকর দিয়ে শাস্তি এড়াতে সক্ষম হন কোলম্যান। কিন্তু এবার সম্ভবত ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে হবে তাকে। আর এমনটা হলে আসন্ন টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণ তার জন্য অসম্ভব হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
এমএইচএম