ব্যাংকক থেকে: সময়ের পার্থক্য মাত্র এক ঘণ্টা। তাই স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ জেগে ওঠার আগে জেগে উঠেছে থাইল্যান্ড।
বাহারি বাংলাদেশি পণ্যে থাইদের মন জয় করতে কুইন সিরিকিত ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে সেজেছে ৫৫টি স্টল। সোমবার (৩০ মে) সকাল থেকেই শুরু হয়েছে লোক সমাগম। থাইল্যান্ডে এটাই এককভাবে বাংলাদেশের কোনো মেলা। এই মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য থাই বাজারে প্রবেশ করে দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি কমাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (৩০ মে) সকালে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং থাইল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী মিসেস এপিরাদি টানট্রাপর্ন যৌথভাবে এক্সপোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসিরুল হামিদ বিপু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি এক্সপোতে রয়েছে নানা আয়োজন। তিন দিনব্যাপী এ মেলায় চলবে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা ও পরামর্শ বিনিময়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংযোগ বৃদ্ধি বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, থাইল্যান্ডের শিল্পমন্ত্রী ড.আটচাকা সিবুন রুয়াং, বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, থাইল্যান্ডের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ভাইস মিনিস্টার ড. পানসাক সিরিরুচাটাপং সহ থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতারা।
একই দিন অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের ফ্যাশন ডিজাইনাররা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৈচিত্র্য তুলে ধরবে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং থাইল্যান্ডের পর্যটন ও ক্রীড়ামন্ত্রী মিসেস কোবকার্ন ওয়াটানব্রাংকুল এসময় উপস্থিত থাকবেন।
মেলার দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন- বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং থাইল্যান্ডের শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার পর্ণচাই টারকুলওয়ারানন্ট ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি এ সেশনে অংশ নেবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি পাশাপাশি বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে পণ্য তৈরির আহ্বান জানানো হয়। এক্ষেত্রে ‘মেক ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানকে এগিয়ে নিতে থাই বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশের রেডিমেড গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, বোন চায়না এবং সিরামিক ও টাইলস, ফার্নিচার, অর্গানিক চা ও বিভিন্নখাদ্য পণ্য, গ্লাস, স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, লেদার ও ফুটওয়্যার, ফুড বেভারেজ, হিমায়িত খাবার, পলিমার, প্লাস্টিক, মেলামাইন, মোটর গাড়িরখুচরা যন্ত্রাংশ, শিপবিল্ডিং, ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স,পাটজাত পণ্য, রেশম ও হস্তশিল্প, আইসিটি ও সফটওয়্যার, পর্যটন, হসপিটাল ও মেডিকেলসার্ভিস, কৃষি যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব্য, প্রসাধনী সামগ্রী ও অলঙ্কার উৎপাদন ও রফতানিকারক অর্ধশতাধিকেরও বেশি প্রতিষ্ঠান থাইল্যান্ডের এই প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৬
জেপি/পিসি