ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

রাঙামাটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
রাঙামাটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু। ছবি: বাংলানিউজ

রাঙামাটি: টানা তিনদিনের সরকারি ছুটিতে প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি পাহাড়ি জনপদ রাঙামাটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। টানা দু’দিন ধরে পুরো শহরের বেশিরভাগ হোটেল-মোটেলগুলো বুকিং রয়েছে।

শহর জুড়ে পর্যটকদের আনাগোনা বহুগুণ বেড়ে গেছে। রেষ্টুরেন্টগুলো পর্যটকদের মধ্যে খাবার বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় পার করছে।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের বিখ্যাত ঝুলন্ত সেতু, পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো এলাকায় পর্যটকদের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় বহুগুণ বেড়ে গেছে। শহরের পর্যটন স্পগুলো এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।

রাজধানী ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক দম্পতি রুমা রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রাঙামাটি এত সুন্দর তা আগে জানতাম না। বিয়ের পর এই প্রথম আসলাম। খুব ভাল লাগছে।

তার স্বামী আশফাক রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিয়ের পর এটাই আমাদের প্রথম হানিমুন। আমাদের দেশে এত সুন্দর জায়গা আছে এখানে না এলে জানতাম না।

ময়মনসিংহ জেলা থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী মো. ওমর ফারুক বলেন, আমরা দশ জন বন্ধু মিলে ময়মনসিংহ থেকে বেড়াতে এসেছি। একদিকে করোনার কারণে ঘর বন্দি ছিলাম। ব্যবসা করতে পারেনি। তাই মনকে সতেজ রাখতে পাহাড়ি জনপদে ছুটে এসেছি।

একই দলের ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া বলেন, খুব ভাল লাগছে রাঙামাটি। তবে পর্যটনের উন্নয়নে এ শহরকে আরও বেশি ঢেলে সাজানো উচিত। তাহলে মানুষ বিদেশে বেড়াতে না গিয়ে এ শহরে বেড়াতে আসবে।

রাঙামাটি হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দীন সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, করোনার মধ্যে রাঙামাটিতে এই প্রথম পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ব্যবসা করতে পারায় ব্যবসায়ীরা খুব খুশি। করোনায় পর্যটন সংশ্লিষ্টরা ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এই ভাবে যদি পর্যটকদের ঢল নামে এবং করোনা মাহামারী আকারে ধারণ না করে তাহলে ক্ষতি পুষিয়ে ব্যবসায়ীরা দাঁড়াতে পারবে বলে অভিমত ব্যক্ত করনে তিনি।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন এর ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, টানা সরকারি ছুটি  থাকায় রাঙামাটিতে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। শুক্রবার জেলায় প্রায় পাঁচ হাজার এবং শনিবার সর্বশেষ চার হাজার পর্যটকের সমাগম হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আজ এবং আগামীকাল পর্যটন মটেলগুলো শতভাগ বুকিং রয়েছে। আগামীকালও বুকিং আছে। খুব ভাল লাগছে পর্যটকদের উপস্থিতিতি বেড়ে যাওয়ায়। তবে করোনার সংক্রামন এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের প্রবেশে করতে দেওয়া হচ্ছে বলে যোগ করেন পর্যটন করপোরেশনের এ ম্যানেজার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।