ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

হাইকিং-এ জবি শিক্ষার্থীর ইতিহাস সৃষ্টি 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২২
হাইকিং-এ জবি শিক্ষার্থীর ইতিহাস সৃষ্টি  মাসফিকুল হাসান টনি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): ‘ওয়াক ফর লাইফ অ্যান্ড আর্থ, স্টপ গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ মোটোকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর থেকে রাঙ্গামাটির তিনমুখ পিলার পর্যন্ত প্রথমবারের মতো ক্রস কান্ট্রি হাইকিং সম্পন্ন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসফিকুল হাসান টনি।  

তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগ ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী।

অ্যালবাট্রস, অ্যাডভেঞ্চার অ্যান্ড আউটডোরস ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সহযোগিতায় এই হাইকিং এ অংশ নিয়েছেন।

জানা যায়, ‘সলো ক্রস কান্ট্রি ওয়েফারিং মিশন-২০২২’ শিরোনামে গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে হাইকিং শুরু করেন মাসফিকুল হাসান টনি। তিনি তার এ ভ্রমণ শেষ করেন ৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে। এই ভ্রমণে সাতক্ষীরা জেলার ভোমরা স্থল বন্দর থেকে রাঙামাটির তিনমুখ পিলার পর্যন্ত যেখানে ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বর্ডার মিলিত হয়েছে।  

মাসফিকুল জানান, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মোটো ‘ওয়াক ফর লাইফ অ্যান্ড আর্থ, স্টপ গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ নিয়ে এই অভিযানটি চলছে। এসব অঞ্চলের পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক তথ্য ও প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জনে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই দেখেছি মেঘনা, কির্তনখোলা, কালাবদর, বগুড়া, বেলাই, তেঁতুলিয়াসহ প্রায় ২৫টি নদী। তার সঙ্গে অসংখ্য খাল, চ্যানেল, মাছের ঘের এবং দিঘী। সুন্দরবন অঞ্চলেরও দেখা মিলেছে এই রুটে। সামনে এখনো অপেক্ষা করছে আরও অনেক নদী, খাল, সমুদ্র উপকূলীয় পথ এবং ১৫০ কি.মি এরও বেশি পথ। সব মিলিয়ে এই অঞ্চলের মানুষ, জনপ্রিয় খাবার ইত্যাদি সম্পর্কে যেমন প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে তার সঙ্গে এতো কম সময়ে নদীমাতৃক বাংলাদেশের চমৎকার সব নদীরও দেখা মিলছে। জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক ইস্যু হিসেবে উক্ত রুট সবচেয়ে সেরা বলে আমি মনে করি।

তিনি আরও বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের পর্যটন খাত ও এগিয়ে চলেছে। তবে এ বিষয়ে সরকারকে অবশ্যই আরো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পার্ক কিংবা কৃত্রিম নির্মিত স্পটের তুলনায় আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক বেশি। অনেক গ্রাম ও পর্যটনের উৎস হয়ে উঠতে পারে। পর্যটনের উদ্দেশ্য যখন আমাদের কাছে জ্ঞান আহরণ হয়ে উঠবে ঠিক তখনই আমরা প্রকৃতি ও পরিবেশের গুরুত্ব সম্পর্কে আরো সচেতন হয়ে উঠবো।  

ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,  বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, আড্ডা হয়েছে। কখনো ইউনিয়র পরিষদ, কখনো হোটেল, কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে রাত্রি যাপন করতে হয়েছে। শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়। তার সঙ্গে ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ, ভরত রাজার মন্দিরের মতো স্থাপনারও দেখা মিলেছে। সাতক্ষীরার বিখ্যাত চুই ঝাল, গরু ও খাসির মাংস, বাগেরহাটের গলদা চিংড়ি, বরিশালের আমড়া, পিরোজপুরের পেয়ারার স্বাদও নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পূর্বের টেকনাফ-তেঁতুলিয়াসহ ৪টি রুটে ক্রস কান্ট্রি হয়েছে। তবে এই রুট আমিই প্রথম এক্সপ্লোর করছি এবং একইসঙ্গে মিয়ানমার বর্ডারে এই প্রথম ক্রস কান্ট্রি অভিযানের শুরু বা শেষ হতে চলেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২২
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।