ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

পূর্বাচলেই বাণিজ্য মেলার স্থায়ী কমপ্লেক্স

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪
পূর্বাচলেই বাণিজ্য মেলার স্থায়ী কমপ্লেক্স ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থায়ী কমপ্লেক্স তৈরিতে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি অবশেষে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ মেলার জন্য পূর্বাচলে জায়গা পাওয়া গেছে।

এখন চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেলেই সেখানে কাজ শুরু হবে।
 
সোমবার ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

অবশ্য তার আগে পূর্বাচলে মেলার স্থায়ী কমপ্লেক্স করার বিষয়ে কথা বলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান সুভাশীস বসু ও বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ।
 
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেসন, দেশে বিদেশে আমাদের বাণিজ্য মেলা যথেষ্ঠ সুনাম অর্জন করেছে। ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি স্থায়ী কমপ্লেক্স করার। আমরা পূর্বাচলে জায়গা পেয়েছি। সেখানেই মেলার স্থায়ী কমপ্লেক্স স্থাপন করা হবে।
 
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য মেলায় প্রতিদিন ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও প্রত্যন্ত এলাকা থেকে মানুষ এসেছে। ফলে দেশে ও বহিঃবিশ্বে কোম্পানিগুলোর ব্যবসা প্রসারিত হয়েছে।
 
এ সময় তিনি পোশাক খাতের অগ্রগতি উল্লেখ করে বলেরন, আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচনে যখন ক্ষমতায় আসি তখন দেশের রপ্তানি বাণিজ্য ছিল ১৪ বিলিয়ন ডলারের। কিন্তু গত ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে এটা বেড়ে ২৭ বিলিয়ন দাঁড়ায়।

সরকার ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে রপ্তানি টার্গেট নির্ধারণ করেছে ৩০.৫ বিলিয়ন ডলার। এরইমধ্যে প্রথম ৬ মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও ১৪.৬৮ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে। আশা করি বাকি সময়ে আমাদের টার্গেট অর্জন করা সম্ভব হবে।
 
আগামী ৫ বছরে রপ্তানি টার্গেট ৫০ বিলিয়নে পৌঁছাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
 
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাণিজ্য মেলার মাধ্যমে দেশী ও বিদেশি কোম্পানিগুলোর পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণ করা সম্ভব হয়েছে। আগামীতে এটি আরও সম্ভব হবে।
 
তিনি আরও বলেন, আমরা চীন-দক্ষিণ কোরিয়ায় আমরা শুল্কমুক্ত বাজার পেয়েছি। আগামীতে আমেরিকায়ও আমরা শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানি করতে পারবো। এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও জাপানে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
 
এ সময় তিনি বিরোধী দলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু অর্থনীতির ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য থাকা উচিত নয়। তাই হরতাল অবরোধ প্রত্যাহার করে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

যদি আমরা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারি তবে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো।
 
মন্ত্রী বিদেশি কোম্পানিগুলোকে মেলায় অংশ নেওয়ার জন্য স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে বড় বড় বিদেশি কোম্পানিগুলোকে মেলায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
 
এর আগে বাণিজ্য সচিব মাহবুব আলম তার বক্তব্যে বলেন, আগামীতেও প্রতি বছর বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলা এখানে (আগারগাও) না হলে, অন্য স্থানে হবে। মেলার স্থায়ী প্রাঙ্গণের জন্য মন্ত্রী একমত হয়েছেন। তিনি (মন্ত্রী) পূর্বাচঞ্চলে যেতে রাজি হয়েছেন।
 
মেলা সফলভাবে শেষ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের শঙ্কা ছিলো মেলা শেষ করতে পারব কি-না। তবে কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ছাড়া মেলা সফলভাবে শেষ হয়েছে।
 
সচিব বলেন, দেশ ধীরে ধীরে কৃষি থেকে শিল্পের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৭ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। জিডিপিতে শিল্পের অবদান বাড়ছে। সরকারও শিল্পের দিকে নজর দিয়েছেন।
 
অনু্ষ্ঠানে এফবিসিসআই’র সভাপতি কাজী আকরাম বলেন, বাণিজ্য মেলা যখন শুরু হয় তখন রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল। দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী ছিল না।

তারপরও প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগ নিয়ে নিজে উপস্থিত থেকে বাণিজ্য মেলার উদ্বধন করেছেন।
 
সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।